ঈশ্বরতত্ত্ব
না, এই সাপ প্ররোচিত করেনি
যাতে ইভ খায় নিষিদ্ধ আপেল।
অতি সাধারণ এইসব কথা
তথ্য ও ঘটনার কিছু বিকৃতি।
আদম আপেল খেয়েছিল
পরে ইভ খায় আদমকে।
সাপ খেয়েছিল ইভে,
তারপর এলো ঘোর অন্ধকার।
নৈশাহার শেষে সেই সাপ
স্বর্গে ঘুমিয়ে পড়ে এর মাঝে;
তারপর স্মিতমুখে শোনে
ঈশ্বর-অনুরাগী যত নালিশ জানায়।
[টেড হিউজ (১৯৩০-১৯৯৮) বিশিষ্ট ইংরেজ কবি। তাঁর সর্বাধিক খ্যাতি জন্ত বিষয়ক কবিতার জন্য। কাক নিয়ে তাঁর কবিতা-র বই ‘ক্রো’ (১৯৭০) যেমন খ্যাতি পেয়েছে, তেমনি ‘দ্য হক ইন দ্য রেন’ (১৯৫৭) ও বেশ বিখ্যাত। এসব কবিতায় পাখি ও জন্তুদের হিংস্র-শক্তিশালী রূপ, তাদের নিসর্গনিবিড় ভূমিকার ছবি রয়েছে। আমেরিকান কবি সিলভিয়া প্ল্যাথকে তিনি বিয়ে করেন, দুই সন্তানের পিতাও হন। যদিও অন্য নারীর কারণে সিলভিয়াকে পরিত্যাগ করলে সিলভিয়া আত্মঘাতী হন। তাঁকে অনেকেই সিলভিয়ার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে থাকেন। তাঁর ‘বার্থডে লেটারস্' (১৯৯৮) এই শেষ কাব্যে ওই ভঙ্গুর সম্পর্কের ছবি আছে। এ-কাব্যের জন্য এলিয়ট পুরস্কারও পেয়েছিলেন, বছরে সেরা বই হিসেবে পুরস্কারও পায় এই বইটি। এছাড়া ছোটদের জন্যও তাঁর একাধিক রচনা রয়েছে। কোলন ক্যান্সার জনিত অসুস্থতা তাঁর মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছিল। হিউজ শেষজীবনে রাজকবি হয়েছিলেন। সিলভিয়ার মৃত্যু-বিতর্ক নারীচেতনাবাদীদের চোখে তাঁকে খলনায়ক করলেও কবি হিসেবে তিনি খুবই শক্তিশালী। উপরের অনূদিত কবিতাটি তাঁর ‘থিওলজি’ কবিতার ভাষান্তর।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন