পরিত্যাগ
এক নিভৃত গোপন সৈকতে
সাদা পায়রার মত ছিল
আমাদের বিচরণ।
মধ্যাহ্নের তাপে তৃষ্ণার্ত....
কিন্তু জল ছিল লবণাক্ত!
সোনালী বালুকার বিস্তৃত পটে
আমি লিখেছিলাম তার নাম।
চলন্তিকা মৃদু সমুদ্র বাতাস
মুছে দিয়েছিল সে প্রয়াস।
যে হৃদয় নিয়ে,যে ইচ্ছা নিয়ে
যে আবেগ নিয়ে জীবন কেটেছিল
তা ছিলো ভুলে ভরা!
তাই আজ বদলে নিয়েছি জীবনধারা!
বিষন্ন বালা
সেই সন্ধ্যায়..
তুমি বসেছিলে অসীম ধৈর্যের সোপানে।
তোমার কালো চোখের তারায় লেখা ছিল
কতটা আহত তুমি।
কম্পিত ওষ্ঠাধর জানিয়ে দিচ্ছিল
তোমার আত্মা কি প্রচন্ড যন্ত্রণা ও কান্নার
চরকা কেটে চলেছে।
এবং তোমার মন উদগত কান্নার
কিনারা থেকে ফিরে এসেছে
ফলপ্রসু জীবনে।
তোমার হৃদয় ব্যথায় কাঁদেনি
বরং ফিরে এসেছে...এই পৃথিবীতে।
নক্ষত্র খচিত আকাশ তাকে বুঝিয়ে
দিয়েছে জীবনের মানে!
মুহূর্ত
মূহুর্তগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দিলাম
যা আমার খুব প্রিয় ছিল!
তুমি আসন্ন সন্ধ্যায় আমার কাছে এসেছিলে
এক কালো পায়রার মত।
সামনের রাস্তা ছিল উজ্জ্বল
গোপন ভোজের শেষে
ঘুমের মৃদু শ্বাস -প্রশ্বাস!
বালুকণার মতো মুহূর্ত
তুমি একা রেখেছিলে।
এখন ব্যথিত সে জলঘড়ি স্তব্ধ হয়ে গেছে
যেন এক পাঁচ মাথাওয়ালা শয়তানকে
সে দেখেছে ইডেনের উদ্যানে!
[জর্জ সেফেরিসের জন্ম হয়েছিল ১৩.৩.১৯০০
সালে তুর্কী তে।১৪ বছর বয়সে তিনি এথেন্স গ্রীস এ শিফট হয়ে যান। আধুনিক গ্রীক কবিতার তিনি ছিলেন পুরোধা। ১৯৬৩ সালে তিনি নোবেল পুরষ্কার পান ... এবং ২০.৯.১৯৭১ সালে প্রয়াত হন। তার তিনটি কবিতার ভাবানুবাদ দিলাম।]
তিনটি অনুবাদ কবিতা তিনটি মুক্তো। খুব ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন