সুপারি কিলার
কখনও বা মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে দেখতে পান মুখে আলকাৎরা-মাখা ছোকরাদের মুণ্ডু সারা ঘরময় হাওয়ায় ভাসছে, তারা হিঁঃ হিঁঃ হাসে আর বলে, কেমন আছিস রে ব্যাটা কংশাল? মুখে রক্ত উঠে মরবি। তুই আর তোর বাপের দলবল আমাদের খুন করে মুখে আলকাৎরা মাখিয়ে লোহা পট্টির ঠেলায় চাপিয়ে গঙ্গায় নিয়ে গিয়ে ফেলে দিয়েছিলি; আমরা ভুলিনি সেসব। এখন রঞ্জিত গুপ্ত, নিরুপম সেন, কণক সামন্ত, অনিল ব্যানার্জি, রুণু গুহনিয়োগী, দেবী রায় কেউই তোকে বাঁচাতে আসবে না রে, দেখে নিস, আমাদের বিপ্লব একদিন সফল হবেই। জয় মাও জে দঙ, চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান। মুণ্ডুগুলো যেমন হঠাৎ এসেছিল তেমনই হঠাৎ মিলিয়ে গেল। মুখময় ঘাম নিয়ে বিছানায় উঠে বসেন কেবিএস ওরফে কার্তিকবাহন সাহা। সেবিকা শাশ্বতী গোলদার ওনাকে বিছানায় শুইয়ে বলে, ঘুমের ওষুধ খান আবার মদও খান, তাই আপনার ভালো ঘুম হয় না। এসি আঠারো ডিগ্রি করে, চাদর চাপা দিয়ে দিচ্ছি। আমি জেগেই আছি, চিন্তা করবেন না। আপনি ঘুমোন তো দিকি। কেবিএস বিছানায় শুয়ে শাশ্বতী গোলদারকে বলেন, আরে কংশাল মানে সুপারি কিলার। সুপারি কিলারদের রেট অনেক বেশি ছিল, এখন তো তার চেয়েও বেশি, আমার আর আমার বাপের অমন রেট ছিল না। সুপারি কিলারদের রেট শুধু একজনকে উড়িয়ে দেবার। আমরা অনেক বেশি সংখ্যায় উড়িয়ে পুশিয়ে নিতুম। তাছাড়া মাও জে দঙ তো হাপিশ; তার জায়গায় এসেছে শি জিন পিঙ, হ্যাঃ, হ্যাঃ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন