নররাক্ষস
এক.
শ্রীমতি মালিনী ফিরলেন লং ড্রাইভ সেরে
নীল নকশা সহ
রঙের বদলে রক্ত চলকে ওঠে তার ঠোঁটে
রক্তের ফোঁড় তুলছেন স্বদেশী কারিগর
মুস্কহীন কিছু মানুষের
যে বাড়িতে পৌঁছতে পারি নি কোনওদিন
সামান্য শিহর ,
ফোটা - ঝরা
সবজিনা জড়িয়ে উপোসি ফুলের রঙে
মরা দূর দিনের বৃষ্টি এসে
ভিজিয়ে দেয় ছায়াটির ছায়া
ধারালো খনকযন্ত্র
সারাদিনের লোহা কারখানার রঙচটা চূর্ণ অস্থি
মানুষটা বেঁকে যাচ্ছে
অহৈতুকী ক্রীড়াপরায়ণ রুটির বৃত্তাকার গতিতে
আকাশে আজ বিপুল সৈন্য সমাবেশ
একটা পাখির বাচ্চা ঘষটে ঘষটে
ছোট হতে হতে
একটা ছায়ার মতো নানারকম ভাবে চেষ্টা করেও
ছায়াটাকে আগের আকারে
ফিরিয়ে আনতে পারলো না আর •••
দুই.
বাকি আধখানা মনসিজ
মাঝে সর্ব সমতল ,
অতল শ্যামসুন্দর
সমস্ত কশেরুকার ভাঁজে ভাঁজে মেয়েটি
জিভ বদলায়
ভাষাটুকু গায়ে মেখে
ঝরা অপরূপ
শস্যে এই সমীপে
হারানো চমৎকৃত পাখি শিকার
এখন তার অদৃশ্য কেশর
দেহ : শ্রেণীচরিত্রহীন
ব্যক্তি : নামহীন ...
ঘোড়ারা : সংকেতমালা
অর্ধগতিহীনতায় মাটি আঁকড়ে
বাকি আধখানা
চেষ্টার বিকল্প
নিগ্রহকারীদের বাৎসল্যে স্বাগত ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন