মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২

অমলেন্দু চক্রবর্তী-র ঝুরোগল্প

দেমাক

সাজুনিরা সাজতে বসেছেন অনেক রকম প্রলেপ,লেপাপোতা হবে। আয়না সক্ষী। ভুরাদা মুলতানি না সুলতানি মাটি গুলাবজল। বিহানবেলা থেকে দ‌ই ডিম পেঁপে পাকাকলা চন্দন দুধেরসর।ভাত্ ঘুমমেরে মুখে ফুলাফুলা গুব্বারা। লাস্ট ফিনিশিং চঞ্চু রঙোলি,সেও ভ্যারাটিস। তবুও বলবে "আমি অত সাজতে পারিনা।কি সুন্দর নেচারাল্ সেজেছি না?" তবুও কেউ কেউ ঠোঁট উল্টাবেই। সবাই বলে আমায় দেখো। কে যে,কাকে দেখবে যদি কুরুক্ষেত্র বাধাতে চাও। অন্যকারো নয় নিজের ইস্তিরি' একবারটি গাল টিপে দাও। সব যেন বিউটি কনটেষ্টেন্ট। গেল গেল সব ঘুচে গেল।গালে স্ক্র্যাচ্ পড়েগেল। স্ক্রীন কুঁচকে একসা। অন্যসময় তো এমন পিরিত্ উথলায়না। যেই ভালো লাগলো অমনি হামলা ! সব নষ্ট করে দেওয়ার তাল ! সরো সরো হিংসুটে ব্যাট্টাছেলে। রুপসী হতে কত কসরত করতে লাগে।জানা থাকলে কোন দিন অসভ্যতার ধারে কাছেও আসতোনা। বিশ্রী স্ট্রেচ্ পড়েগেলে। বসয়টা উলঙ্গ হয়েযায় এমনিতেই অস্থিলোলচর্ম থলথলে হতে লেগেছে ক্রমশ। বয়সকালে যা হয় আর কি। হংসিকাবৎ।

                                                              তাইতো

সারাটা দিন করতেই চলেগেল। নিষ্ঠুর পৌরুষ

দেখাতে এমন হামলা এমন আদেখলাপনা।সেই প্রথম প্রথম যেমন। নাকি পুরানো সেই দিনের কথা'য় ফেরার মনকেমন। সাজের এক বিশাল অঙ্ক প্রাচীন ইতিহাস যূগ যূগান্তর ধরে। স্বর্গের অপ্সরী থেকে প্রমীলা অপরুপ সুন্দরী নারী তবুও সাজো সাজো আজ‌ও। যেনবা একদল প্রর্দশনী প্রস্তুতির নানান ব্যঞ্জন নিয়ে প্রশারণে।  দুইটিই পুরুষ শাসিত সমাজের চক্রান্ত। দুইটিই আলাদা আলাদা সম্প্রদাই চালিত করে পুরুষ শাসিত সমাজ।এদের মধ্যে এমনো বোধবুদ্ধি নেই যে দুটি সম্প্রদাই কেই তুড়িমেরে উড়িয়ে দিতে পারে। অল্পদিনের অন্ধকারের ভালোবাসাই এইভাবে নারীসত্বাকে যূগ যূগ ধরে পরাস্ত করে রেখেছে। এক‌ই মৎলব ধর্ম রাজনীতি। বলি বকরি স্ত্রীজাতী। সতীত্ব তাকেই প্রমাণ করতে হবে ভক্তিমতী তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে। পুরুষ অণুগত্যার নামে বস্যতা স্বীকারোক্তি তার কাছ থেকেই আদায় করতে হবে। সন্তান জন্মদান তাঁরা করবেন স্বী কৃ তি পুরুষের‌ই প্রাপ্তি। নারী শরীর ঢাকা আঢাকা থাকবে সে সব  নির্নয় বহুকালের। বহুযূগের বলপ্রয়োগ দ্বারাই নির্ধারিত হয়েই আছে এখন সেগুলি সম্প্রদাই ভেদে চলে আসার রকম ফের। তাঁদের বললেও মানবেন না। 

                    তারপর দেশ ভাগে সম্প্রদাই ভাগে পুরুষ সমাজ দ্বারা নারীদের জন্য আইন কানুন।

বেশিকম থাকেই তার কারণ ৭০ প্রতিশত এই মানোষিকতার দাশ। সময়কাল তার এক বিন্দুও পরিবর্তন আনতে চাইনি, তাই স্থবীরতা বহাল রয়েছে।খুদগর্জীর খিদমৎ। আর নারীরা তার জান্তে অজান্তেই সহায়ক। তোমারে ১৯ শেই থাকিতে হৈব ২০ হ‌ইবার চেষ্টা মাত্র করিওনা নারী। ব্যেতিক্রম কে কখনোই নিরাপদ ভাবিও না ব্যেতিক্রম ব্যেতিক্রম‌ই  ইহা নিয়ম হ‌ইতে পারে না। পৌরুষ ঘরের গন্ডির মধ্যেও বহুগামিতা হতে পারে। নারীর জন্য ব্ল্যাকলাইট এরিয়া। তার তক্'মা হল দেহব্যাবসায়ি বা যৌনকর্মী।

                                                             সাজ 

উগ্রসাজ এসব‌ই হল প্রাচীন যূগের থেকে চলে আসা পর পুরুষের নজর কাড়ার 'বলিতো ইঙ্গিত্ শুনতে বিশ্রী লাগিলেও সাজের সঙ্গে সঙ্গে চাল চলন চাউনি পোশাক আশাকে। আধুনিক ভাষাই বডিল্যাঙ্গুয়েজ্ পাল্টিয়ে যায় মনে প্রাণে একেকটি,পৃথিবী জুড়ে সাজের কি বহর নেমেছে। পুরানো পৃথিবীটা কি হারিয়ে গেছে হারিয়ে যাবে। ........  এমন মুগ্ধতা, আহ্ লক্ করলুম বন্ননার মুখ। আসুন আমরা নীলাম্বর ঘেরা শামিয়ানার নিচে সবুজে লুটোপুটি ডিগবাজি খায়। জুলীয়াস সিজার  লয়লা মজনু  রাধা কৃষ্ণ বৌষ্টম বৌষ্টুমি এরাও কি মুহব্বতে এমন লুটোপুটি সোমসার জুড়ে ..... চ্য‌ইখের জল তেল, আহারে পিরিতির কি জ্বালা কি জ্বালা। জলবায়ু ঋতু রঙ সব‌ই কেমন ব্যেথা কষ্টেরও। কোমোর দোলানি এখন টুকু টুকুতেই আধুনিক গায়'ইন্ হলেই তানপুরা গীটার পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে নাচ। আরামদায়ক আনন্দদায়ক আনন্দ ! আনন্দ !! আনন্দ !!! এমন নগদ নারায়ণ কভুকাল। 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন