প্রিয় পঙ্ক্তি স্মরণীয় প্রবাদের মতো
উড়ে যায় পাণ্ডুলিপি কিছু প্রিয় পঙ্ক্তি স্মরণীয়
প্রবাদের মতো ঘোরে, হাওয়া কাঁপা উত্তপ্ত সোঁদাল
পথে ঝরে (যেন এ মাটির স্বর্গ স্বপ্নাতীত প্রিয়)
তখন আচমকা ভাবি কবিকে দেখি না কতকাল! (কবির মৃত্যু : শ্রেষ্ঠ কবিতা, সুধেন্দু মল্লিক)
‘কে যেন আমার ডাকনাম ধরে পাঞ্জাবিতে টান দিল’ – এক কবিতাপ্রেমিক তরুণের চিঠি পেয়ে প্রত্যুত্তরে পোস্টকার্ডে এ-কথাই লিখেছিলেন অরুণকুমার সরকার (১৯২১-১৯৮০)। মুগ্ধ বিস্ময় আর প্রত্যাশা নিয়ে লেখা হয়েছিল সেই চিঠি। কবির ‘জন্মদিনে’ কবিতার ‘দুরাশা আমার সীমাহীন বটে’র মতো পঙ্ক্তি তুলেই হয়তো চিঠি লিখেছিলেন তিনি। বহরমপুর থেকে কলকাতায় বাংলা এম.এ. পড়তে আসা আপ্লুত সেই তরুণ পরিণত হয়ে কবির প্রেমের কবিতা নিয়ে চমৎকার প্রবন্ধ লিখেছেন, তাঁরই নির্দেশনায় প্রদীপ ঘোষ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পূর্ণাঙ্গ গবেষণা করেছেন কবিকে নিয়ে। আর আজ বার্ধক্যে উপনীত তিনি অক্লেশে উচ্চারণ করেন কবির সেই স্মরণীয় পঙ্ক্তিমালা :
যৌবন যায়! যৌবনবেদনা-যে
যায় না। সহসা ব্যাকুল বিকেলে বাজে
মূলে মূলে কার বাসনাকরুণ দুরাশা। (অশেষ)
বলা যায়, উত্তরাধিকারসূত্রে আমি এভাবেই পেয়েছি অরুণকুমার ও তাঁর কবিতাকে। এতক্ষণে হয়তো অনেকেই বুঝে ফেলেছেন, বহরমপুরের সেই তরুণ আমার বাবা। শুনেছি, সাড়ে তিন-চার বছর বয়সেই নাকি বাবার মুখে শুনে শুনে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত অনূদিত হাইনের ‘স্মৃতিবিষ’-এর অনেকটা আমার কণ্ঠস্থ ছিল, কেউ কবিতা বলতে বললেই সুর করে বলতাম ‘সেদিন পহেলা ফাল্গুন...’। ফলত এক রোম্যান্টিক আবহে বেড়ে ওঠা সেই বালকের মনে কখন যে অরুণকুমার প্রবেশ করেছেন, তার দিনক্ষণ নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। আসলে যে-কবি সারাজীবন ধরে মূলত প্রেমের কবিতাই লিখতে চেয়েছেন, নারীর প্রেরণাবিহীন তথা স্ত্রীভূমিকাবর্জিত কবিতার কথা যিনি ভাবতেই পারেন না কখনও, তাঁর কবিতার রূপে-রসে-ধ্বনিতে আমাদের প্রেমিক মন আকুল হবে, তাতে সন্দেহ কী?
২.
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তো বলেই গিয়েছেন : ‘অরুণকুমারকে তবু যে ‘ভালোবাসার কবি’ বলতে প্রলুব্ধ হচ্ছি আমরা, তার কারণ, নানাবিধ পরিচয়ের ভিতর থেকে তাঁর ওই পরিচয়টাই শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হয়ে তাঁর পাঠকের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়।’ তাই তাঁর ‘যদি মরে যাই / ফুল হয়ে যেন ঝরে যাই’ এই প্রার্থনা কিংবা ‘ও-দুটি চোখের তাৎক্ষণিকের / পাব কি পরশ যৎসামান্য’, ‘উষ্ণ তোমার স্মৃতি তবুও / আমার এ-হৃদয়ের ফ্লাস্কে’, ‘অঙ্গে আমার যৌবনভার’ বারবার মনকে নাড়া দিত। প্রেসিডেন্সিতে বাংলা পড়তে এসে এই কবি আমার যৌবনের অন্যতম আশ্রয় হয়ে উঠেছিলেন। শক্তি-সুনীল আর শঙ্খ-অলোকরঞ্জন-এর পূর্বজ সুকান্ত-সুভাষের পাশে রোম্যান্টিক এই কবি আমাকে আচ্ছন্ন করেছেন বারবার। নীরেন্দ্রনাথকে ভালোবাসলেও অরুণকুমার যেন ভিন্ন এক সুর বুনে দিতেন মনে। বিশেষত দুটি অণুকবিতা প্রিয় মুহূর্তে বারবার উচ্চারণ করতাম, আবার ছন্দ-অলংকারের উদাহরণ হিসেবেও বেশ পছন্দসই ছিল সেগুলো। ‘জার্নাল থেকে’ কবিতার সেই দু-টুকরো এইরকম :
১) বৃষ্টিভেজা বাড়ির মতো রহস্যময়
তোমার হাতে আছে আমার একটু সময়।
কত দিনের কত রাতের ঝাপসা তুলির
রঙে রেখায় আঁকা আমার একটু সময়। (পূর্ণোপমা অলংকার)
২) আমাকে সুন্দর করো, সে যে ভালোবেসেছে আমায়!
পরিশুদ্ধ হোক বায়ু; আকাশ প্রশান্ততর হোক।
আমার হৃদয় ভরে দাও শুভ্র নির্মল আলোক।
আমাকে পবিত্র করো সুরভিত অপরাজিতায়! (মহাপয়ারের দৃষ্টান্ত)
অরুণকুমার সরকার মানেই যেন ছন্দ ও গীতলতায় দুলিয়ে দেয় মন। পাশাপাশি ‘তোমাকে ছাড়া নেই শান্তি নেই’ এই আকুতি যেমন বিষ্ণু দের ‘চাই না তুমি বিনা শান্তিও’ মনে করায়; তেমনই ‘তোমাকে চাই, আমি তোমাকে চাই’ পরবর্তীকালে সুমন চট্টোপাধ্যায়ের ‘তোমাকে চাই’ গানের উৎসবিন্দু হয়ে আছে। তাঁর প্রেমের কবিতার বিষাদ ও বেদনা আমাদের নন্দিত করে, কিছু পঙ্ক্তি আজো স্মরণীয় : ‘ভালোবাসা তুমি সুদূর শঙ্খচিল’, ‘তোমার প্রেম হোক না শুধু ছলা / তোমাকে ভালোবেসেছি কুন্তলা’, ‘শূধু প্রেম নয়, কিছু ঘৃণা রেখো মনে’, ‘মেয়েদের ভালোবেসো না, মন, / প্রাপ্তি তো শুধু যন্ত্রণাই।’, ‘জ্বলে দীপাবলি নগরে নগরে / আমি যে তিমিরে সাঁতার কাটি’, ‘আমাকে তবে কিছু স্বপ্ন দাও / মধুর মিথ্যার অসম্ভব।’, ‘যৌবন যায়। যৌবনবেদনা যে যায় না’, ‘যৌবনের ধনুর্বাণ লুকানো ইচ্ছার শমীগাছে’ ইত্যাদি। মনে পড়ছে, ‘গৃহদাহ’র উত্তর লিখতে গিয়ে অরুণকুমারের একটি কবিতাকে ঈষৎ বদলে মহিমের অনুভব লিখেছিলাম এইভাবে : ‘তোমার প্রেম হোক না শুধু ছলা / তোমাকে ভালোবেসেছি অচলা’। আরেকবার এক অগ্রজ কবিতাপ্রিয় ব্যাংক ম্যানেজারকে বইবাজার থেকে অরুণকুমারের কবিতাসমগ্র কিনে পড়তে বলেছিলাম, তিনিও মুগ্ধ হয়েছিলেন। এখনো নব্বইয়ের কবির প্রেমের কবিতা কিংবা চল্লিশের কথাকারের প্রেমের গল্প নিয়ে লিখতে গিয়ে তাঁর কবিতারই রেফারেন্স এসে যায় আমার মনে। সাম্যবাদী কবিতার ধারায় প্রত্যক্ষ সামাজিক দায়বদ্ধতা, কোথাও বা স্লোগানধর্মিতা-কে দূরে সরিয়ে রেখে এই রোম্যান্টিক লিরিকের সুরকে তাই উপেক্ষা করার হেতু নেই কোনো। তাই মাত্র দুটি কাব্যের এই কবির কবিতাসমগ্র দুশো পাতা না ছাড়ালেও মনস্ক পাঠকেরা সঙ্গ ছাড়ে না তাঁর। সাম্প্রতিক এক দূরভাষিক সাক্ষাৎকারে পঞ্চাশের অশীতিপর কবি সুধেন্দু মল্লিক আমাকে জানান তাঁর ‘কবির
মৃত্যু’ কবিতাটি কবি অরুণকুমারের মৃত্যুর অভিঘাতে লেখা। বন্ধু আলোকের দাদার দ্যুতিমান কবিতা তাঁর গভীরভাবে প্রিয় ছিল, বিষাদের মধ্যে কৌতুক নির্মাণে তাঁর
দক্ষতার তিনি তুলনা পাননি সমকালে। গভীরভাবে শ্রদ্ধা করতেন তাঁকে। সামনে দিয়ে তিনি হেঁটে গেলেও সাহস করে কথা বলতে পারেননি সুধেন্দু। আজও স্মৃতি থেকে তাঁর বহু পঙ্ক্তি তিনি উদ্ধার করতে পারেন। অতুলনীয় অথচ প্রায় ঢাকা পড়া এ-কবিকে ফিরে পড়া দরকার, এমন বিশ্বাস তাঁরও (এ-প্রসঙ্গে ‘স্বকাল’ (২০১৩) ও ‘কলকাতার যীশু’ (২০২১) ছোট পত্রিকার অরুণকুমার বিশেষ সংখ্যার উদ্যোগ প্রশংসাযোগ্য মনে করি)।
৩.
‘আশৈশব কবিতাকে ভালোবেসে বুঝেছি প্রেমেই / রূপ, কল্পনার তথা কবিতার আদি বাসস্থান।‘ (বুদ্ধদেব বসু-কে) – রবীন্দ্রনাথকে ছুঁয়ে বুদ্ধদেব বসুর কাব্যাদর্শকেই তিনি শিরোধার্য করেছিলেন। পছন্দ করেতেন অগ্রজ জীবনানন্দ, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয় চক্রবর্তী, বিষ্ণু দের কবিতাও। তাই সমকালীন বামপন্থী, রাজনীতিমুখর আগ্রাসী ছায়া তাঁর কবিতাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। তাঁর ‘কবিতাসমগ্র’র ভূমিকায় কবিবন্ধু নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন ‘অরুণকুমার আসলে এমন কোনও মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না, রাষ্ট্রিক ও সামাজিক আধিব্যাধির একমাত্র মোক্ষম দাওয়াই হিসাবে যা অনেকে ফিরি করবার চেষ্টা করেন।’তবু মানুষের শুভবুদ্ধির উপর আস্থা রেখে শেষ অব্দি তিনি ছিলেন ‘ভালোবাসার কবি’। কিট্সের মতো তাঁরও বিশ্বাস : ‘পৃথিবীর কবিতার শেষ নেই’। কবিতা, ছড়া এবং সামান্য কিছু অনুবাদের পাশাপাশি তিনি যে প্রবন্ধও লিখতেন, একথা প্রায় অনেকেই বিস্মৃত হয়েছেন। মাত্র আটান্ন বছর বয়সে তাঁর অকালমৃত্যুর পর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সেইসব প্রবন্ধাবলী নিয়ে একশো তিন পাতার ক্ষীনতনু যে বইটি প্যাপিরাস প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পায় তার নাম ‘তিরিশের কবিতা এবং পরবর্তী’(১৯৮১)। উনিশটি ছোট-বড়ো গদ্য দিয়ে সাজানো অধুনা দুষ্প্রাপ্য বইটি মন দিয়ে পড়লে প্রাবন্ধিক ও সমালোচক হিসেবেও তাঁর দক্ষতা আমাদের বিস্মিত করে। প্রাবন্ধিক অরুণকুমারের ভাষা ও ভঙ্গিমায় বুদ্ধদেব বসুর প্রেরণা আছে। যুক্তি ও বিচারের ক্ষেত্রে তিনি স্পষ্টবাক, ভাষায় কবিতার ছোঁয়া এবং তা বুদ্ধিদীপ্ত। তবে মাঝে মাঝে যেসব মন্তব্য করেছেন, যেমন চল্লিশের কবিদের মাঝারিয়ানা, ‘চালাকি এবং রুদ্ধরতি পঞ্চাশের একাধিক কবিরই পুঁজিপাটা’ কিংবা মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ফাঁপানো পদ্য’, মণীন্দ্র রায়ের ‘বক্তব্যবর্জিত আঙ্গিকসর্বস্বতা’, বামপন্থী কবিদের ‘পদ্যকার’ বলা ও তাঁরা ‘রাজনৈতিক আবহাওয়ার রোজনামচা’ লেখেন কেবল ইত্যাদি মন্তব্যের সবটুকু মেনে নেওয়া যায় না। নিজে আদ্যন্ত রোম্যান্টিক কবি বলেই সম্ভবত ঐ ধারার কবিতার প্রতি তাঁর পক্ষপাত ব্যক্ত হয়েছে।
৪.
তবে কী অরুণকুমার সমাজবিমুখ, পলাতক কবি? অথচ ‘কবিমাত্রই সমাজচেতন’ - একথাও তো তিনি বলেছেন। চল্লিশের সাম্যবাদী কাব্যধারা, বিশ্বযুদ্ধ, দাঙ্গা, দেশভাগের আবহে দাঁড়িয়ে তাঁর উপলব্ধি : ‘এককথায় মানবিক মূল্যবোধ এবং মানব-সম্পর্কের এওন্দ্বক শোচনীয় অমাবস্যায় বোবা দুঃস্বপ্নের জগৎ ছিল আমাদের। নামহীন যন্ত্রণায় প্রতি মুহূর্তের দ্বিধাদ্বন্দ্ব এবং পুঞ্জীভূত অসন্তোষকে বহন করেও আমরা বুকের মধ্যে আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলুম, ভালোবেসেছিলুম মানবিক মূল্যের সারাৎসার কবিতাকে’। তাঁর স্বপ্নেও তখন হানা দিচ্ছে ‘দুঃস্বপ্নের বর্বর বর্গিরা’। ঠিক এ-কারণেই ‘উত্তরবসন্ত’, ‘বেকার’ কবিতায় বণিকের পুঁজিজনিত ট্র্যাজেডি, মলিন, ক্লান্ত দ্বিপ্রহরের ছবি কিংবা ‘রেস্তোরাঁয়’ কবিতায় গর্ভবতী ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তাঁর সম্বোধন ‘তোমার সন্তান যত / মৃত বা জীবিত / সবাই বিকৃতরতি / বিকলাঙ্গ সব’; ‘চাপা রাগগুলোকে কুড়িয়ে / দারুণ হাতবোমা এক তৈরি করা যায়’, ‘শুধু প্রেম নয়, কিছু ঘৃণা রেখো মনে’ - এসব উচ্চারণ আমাদের বুঝিয়ে দেয় তিনি মোটেই সমাজবিমুখ নন, তবে রাজনীতি থেকে দূরেই থাকতে চান। তাঁর কবিতায় রাধা-কৃষ্ণ কিংবা ভীষ্মের শরশয্যা, শমীবৃক্ষ ইত্যাদি মহাভারতীয় পুরাণপ্রতিমা মাঝে মাঝে এসেছে, তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতার নামটিও ‘যিশুখ্রিস্ট’। সোদপুরে গান্ধীজীকে দেখে এসে মুগ্ধ হয়ে লিখেছেন ‘মহাত্মাজি’ নামের কবিতাও। রয়েছে নন্দলাল বসুকে নিয়ে ‘শিল্পী-কথা’। কবি জানান ‘আমার ঈশ্বর শুদ্ধ শিল্প / গড়নে অপরূপ, ভাবনে মুগ্ধ’। জৈব জীবনের নৃত্য, ছন্দ তাঁর জীবনে ঢেউ তোলে। বয়স তাঁকে ঈশ্বরের কাছাকাছি নিয়ে যায়, যে-ঈশ্বর দীনবন্ধু। মারা যাবার পর সেই ঈশ্বরের কাছে গিয়ে তিনি রিপোর্ট দিতে চান ‘তবু এক দারুণ অন্ধকার / সারা পৃথিবীকে গিলে খাচ্ছে।’ কিন্তু অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িতে তিনি ব্রেশটের মতো অন্ধকার দিনের গান গাইতে পারেননি। আবার নিছক তরল প্রেমের কবিতাও তাঁর অন্বিষ্ট নয়। আসলে সত্যের আয়নায় বিবস্ত্র হওয়া কিংবা খণ্ড সত্যের উপাসনা তাঁর কাঙ্ক্ষিত নয়। ‘প্রস্তাবনা’ সংলাপিকায় তিনি সাহিত্যের সারাৎসার হিসেবে একটি অম্লান আলো ও উত্তাপ-কেই বড় করে দেখেছেন, তবে এও মেনেছেন ‘জ্বালানিটা যুগের যোগ্য হওয়া শুধু বাঞ্ছনীয় নয়, / একান্ত অপরিহার্য’। তাঁর ‘একটি পুরনো চিঠির অংশ’কবিতার এই অনুভব বিযুক্তিতাড়িত, প্রযুক্তিমদির সমীপ সময়ে আমাদের আলোকিত করে : ‘পশুদের প্রেম কেবল বিশেষ ঋতুর উত্তেজনা আর মানুষের কাছে সব কালই ভালোবাসার বর্তমান। এসো’। তাঁর জন্মশতবর্ষে দাঁড়িয়ে মনে হয় এই আন্তরিক আহ্বানে আজ আমাদের সাড়া না দিয়ে উপায় নেই কোনো।।
ঋণস্বীকার :
১) কবিতাসমগ্র, অরুণকুমার সরকার, আনন্দ পাবলিশার্স, দ্বিতীয় মুদ্রণ ২০০৬
২) তিরিশের কবিতা এবং পরবর্তী, ঐ, প্যাপিরাস, ১৯৮১
৩) কবি অরুণকুমার সরকার, দেশ-কাল-কবিতা, ড. প্রদীপ ঘোষ, সারঙ্গ, ২০১৯
৪) বাংলা কবিতা : অনেক আকাশ, তরুণ মুখোপাধ্যায়, প্রজ্ঞা বিকাশ
৫) রবীন্দ্রপর কবিতা, দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, দে’জ, ২০১৮
৬) শ্রেষ্ঠ কবিতা, সুধেন্দু মল্লিক, পারুল, ২০১৭
৭) ‘রবীন্দ্র-পরবর্তী বাঙালি কবির ঈশ্বর-ভাবনা’, ঋতম্ মুখোপাধ্যায় (পিএইচ.ডি অভিসন্দর্ভ, ২০১৩)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন