ভোট
ভোটের দিন ঠিক হয়েছে । ভোটপ্রচার তুঙ্গে । তেঁতুলতলায় খাটিয়া পেতে সারাদিন বসে থাকে অশীতিপর ফুলমণি মান্ডী । তার কাছেও ভোটবাবুরা আসতে লাগল ।
প্রথমে এল ‘ৎঢ়’ পার্টির লোকেরা । ফুলমণিকে নমস্কার করে বলল—বুড়িমা ,তোমার ভোট আমাদের দিও কিন্তু । তারপর দিন এল ‘ন্নশ্ত’ পার্টির লোকেরা । তারাও চাইল ভোট । এর পর একে একে এল ‘য়ংঞ্ঝ’ পার্টি , ‘ফর্ঠ’ পার্টি , ‘ম্সপ্ছ’ পার্টি , ‘দ্বভ্থ’ পার্টি । সবার চাহিদা ফুলমণির ভোট ।
একদিন আর থাকতে না পেরে ফুলমণি এক ভোটবাবুকে বলেই দিল--—সব ভোটই যদি তুমাদের দিঁয়ে দুব তাইলে আমার কি থাকবেক , কলাটো ?
উপমা নিরুপমা
এক গ্রামে কথা বলার অদ্ভুত রীতি ছিল । সবাই নিজের পেশার কথা দিয়েই ভাব প্রকাশ করত । এক ডাক্তার খেতে বসে মাছ না খেতে চাইলে বলে—মাছ বাইপাস কর । দুই শিক্ষক যেতে যেতে সুন্দরী মেয়ে দেখলে বলে—কত পার্সেন্ট মার্কস দেওয়া যায় ? এক কৃষক তার মেয়েকে বলে --–চুলগুলো যে শনের দড়ি করে ফেললি । এক অটো ড্রাইভারের বিয়ে । ফুলশয্যার খাটে শুয়ে সে বলে উঠল--একটু সরে , আরেকজন হয়ে যাবে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন