নিরাময় খুঁজি এসো বুকের ভিতর
এখনো গীতিকা গেয়ে দোহার তোলে কবি
মহুয়া রে!
তোর ভরা কলস মাটিতে থুয়ে দেখাবি না তোর সেই সেইসব ছবি?
হুমরা বেদিয়া তোরে খেলাইয়ে যায় কতকাল ধরে
নদী বনভূমি শীতলক্ষ্যার পাড় ধরে ছুটতে ছুটতে
এলোচুল ভালোবাসা কাঁখে নিয়ে বুকে নিয়ে
মোহনার দিকে এগোতে গিয়ে
ছন্দের বারান্দায় ঠোক্কর খেয়ে
শহরের রাস্তায় এসে হুঁচোট খেয়ে পড়লে!
হাসপাতালের দরজায় কার নিরাময় খোঁজো?
তোমার কোঁচড়ে কী আছে তুমি নিজেই জানো না
পাহাড় সানুদেশ নদী আর উদার মোহনা ছাড়িয়ে
উল্টোমুখে ফের গাঙুড়ের জলে ভেলা ভাসিয়ে দিয়ে...
তুমি কি পাগল হয়েছো, মেয়ে!
কোঁচড়ের বুকরাঙা ফুলগুলো
আকুল আগলে রাখা টেক্কালাল ছবিখানি
নামিয়ে রাখো কবির পায়ের তলায়
না না, কবির বুকের ডগায়। দ্যাখো,
মৈমনসিংহ গীতিকার গান ঝরে কবির গলায়
চটুল ভাওয়াইয়া থেকে বিরহের ভাটিয়ালি
মেখেছো তো আজীবন
এখন শোনো তবে বকুলবনের গান
নিরাময় হোক কুহেলি আঁধার
মন্দাক্রান্তা বয়ে যাক কুয়াশার ভার
নিরাময় খুঁজি এসো বুকের ভিতর।
মহুয়া রে!
উত্তরমুছুনতুমি কি পাগল হয়েছো,মেয়ে!
এ কবিতা প্রেমের, কিন্তু অনেককিছু নিয়ে। ❤
দারুণ স্যার
মুছুন