বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দেবব্রত রায়-এর ঝুরোগল্প


উপলব্ধি 

টিরিরিং ট্রিং ট্রিং.....

 

হ্যালিউ ! স্যরি। ব্যাস্ত আছি। 

 

টিরিরিং......

 

হ্যালিউ ! রঙনম্বর। 

 

টিরিরিং..... 

মাসছয়েক আগে ভাইরাস অ্যান্ড আওয়ার ফিউচার-এই বিষয় নিয়ে সৈকত একখানা প্রবন্ধ পাঠিয়েছিল দি ইউথ পত্রিকায় প্রচুর বইপত্র ঘেটে,আনকমন সব রেফারেন্স ব্যবহার করে বেশ  খেটেখুটেই লেখাটা তৈরি করেছিল সে। দিন দুই পরেই দি ইউথের বিভাগীয় সম্পাদক মেইল করে জানিয়েছিলেন,লেখাটি মনোনীত হলে সৈকতকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে তবে, লেখাটি তার ভালো লেগেছে ! দীর্ঘ -মাস অর্থাৎ, প্রায় একশো আশি দিন এবং আপাতত, ঘন্টায়,মিনিটে হিসেবনিকেশ করলে যা দাঁড়ায়, দশ হাজার আটশো ঘন্টা,আটচল্লিশ মিনিট,কয়েক সেকেন্ডসৈকত প্রতিদিন সেই ফোনের অপেক্ষাতে থাকে ইদানীং,সৈকত লক্ষ্য করে এই -মাসে তার মানসিক,শারিরীক এমনকি, গলার স্বরেও বেশ একটা পরিবর্তন এসে গেছে ! প্রথম প্রথম ব্যাপারটা রপ্ত করতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।                                                                                                   সাউণ্ড সিষ্টেমে,সৈকতের ফেবারিট গানটা বাজছিল। তার মধ্যেই মোবাইলটা আবারও বেজে উঠল। সৈকত সাউন্ড সিস্টেমের ভলিউমটা লো করে খুব শান্তভাবেই ফোনটা হাতে তুলে নিল। দেখল স্ক্রিনে একটা আননোন নম্বর ! সৈকত গম্ভীর অথচ,বেশ সুরেলা গলায় ফোনটা রিসিভ করলো, হ্যালিউ.....পরমুহূর্তেই,স্যরি বলে ফোনটা কেটে দিল।                                               অবশেষে,সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত ফোনটা একদিন সত্যিসত্যি- এলো। টিরিরিং টিরিরিং আওয়াজটা ছড়িয়ে পড়লো বাড়িময় ! আর,এপাশ থেকে বেজে উঠল,      দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে.... 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন