সবুর
কেন এত কম সময়ের জন্য? কেন কেন কেন? আর একটু হাতে সময় নিয়ে আসা যেত না? বসতে বসতে উধাও হয়ে গেলে? একটু ত আমায় সময় দেবে।অন্তত হাত মুখ ধোওয়ার। একটু ফ্রেশ হওয়ার। এত তোমার কিসের তাড়া? আরও কথাও যাওয়ার ছিল? এমন দিনে কেন আস? ফাঁকা রাখবে ত।দু’দন্ড যে একটু কথা হবে সেটুকুও সময় দিলে না। এবার যা হয়েছে হয়েছে,আর কিন্তু যেন না হয়।বরদাস্ত হবে না।ঘরে তালা দিয়ে রাখব।দেখব কেমন করে উধাও হয়ে যাও।
সন্ধ্যের বাসগুলোতে এত ভিড় হয়, নেমে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।হাঁটার ক্ষমতা থাকে না।আজ নেমে যখন একটা টোকা পড়ল পিঠে,মুখ ঘুরিয়ে যখন দেখতে পেলাম তোমাকে,বিশ্বাস কর, সমস্ত শরীর ও মনের ক্লান্তি নিমেষে উধাও হয়ে গেল।উধাও কিভাবে হতে হয় তোমার থেকে আর কে ভালো বুঝবে।তুমি কোথা থেকে আমাকে দেখলে? আমি ত তোমায় দেখতে পাই নি।ও বুঝেছি,স্ট্যান্ডের ভিতরে বসেছিলে? তাই ভিড়ে দেখতে পাই নি। আমার জন্যে অপেক্ষায় – ভীষণ ভীষণ ভাল লাগছে ভেবে। তা, স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে পারলে,দেখা হওয়ার পর এতটুকু সময় রইল না তোমার হাতে? কি ব্যাপার বল ত? খুলে বলবে? নির্ঘাত ভূত চেপেছিল মাথায়, নয় আমায় ভূত দেখেছ।নইলে একটা স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এরকম আচরণ সত্যি অস্বাভাবিক।
হ্যাঁ, এটা মেনে নিচ্ছি যে ঘরে এসে সরমা মাসিকে চা করতে বলে ফাঁকা ঘর পেয়ে জড়িয়ে ধরেছিলাম তোমার কোমর।তুমি বসেছিলে একটা চেয়ারে,আমি মাটিতে নিল ডাউন হয়ে বসে তোমার উরুতে এলিয়ে দিয়েছিলাম আমার হাজার চিন্তার মাথাখানা আর দুহাতে তোমাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম বেড় দিয়ে। কিন্তু তাতে ত তুমি রেগে যাও নি,পছন্দ না হলে বাধা দিতে।বরং তোমার দুহাত দিয়ে আমাকে মাথায় আদর করলে,চুলে বিলি কেটে দিলে। মুহূর্তের জন্য মনে হয় নি যে তোমার কিছু হয়েছে। সরমা মাসি চা নিয়ে এসে দ্যাখে তুমি ঘরে নেই।
আর পারছি না।সত্যি বলছি পারছি না।আর কতক্ষণ কৌতূহল চেপে বসে থাকতে হবে? নাও, এবার বলে ফেলো। সবার সামনে বলতে ইতস্তত করলে, বেশ ত, আজ যখন ঘরে লাইট নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ব তখন বোলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন