রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

নাজনীন সীমন-এর কবিতা


 অপেক্ষায় আছি


 

অনন্ত কালের এই তৃষ্ণার্ত প্রতীক্ষা।

বিছানায় অবসন্ন শরীর এলিয়ে

সময়ের কাছে আনত প্রার্থনা বারংবার

এমন ভোরের চারপাশে যেদিন ভীষণ হল্লা হবে

ঝাঁকিয়ে ওঠাতে ত্রস্ত হবে সবাই,

সুপ্রিয় গন্ধরাজ, বেলী, পাতাবাহার আরো আরো

গাছেরা সূর্যের থেকে মুখ ঘুরিয়ে তাকাবে এবং

তাাকিয়েই থাকবে আমার দিকে,

বাহারী অর্কিড, এমনকি কণ্টকাকীর্ণ

সবুজ স্বল্প জলপায়ী ক্যাকটাসও উন্মুখ ভাবে কলের শব্দের

জন্য অস্হির অধীর হয়ে উঠবে অথচ এই মাত্র দিন

আগেই প্রায় মরতে যাচ্ছিলো অসতর্ক জলের ধারায়,

কিচিরমিচির করা চড়ুইগুলো খানিক শান্ত হবে

নিয়ম ভাঙার তীব্র সন্দেহে;

বিশালদেহী কুকুরটিও মাটিতে নাক শুঁকে

এগুবে সুপরিচিত গন্ধ -পথে হয়তো মিশে আছে ভেবে

যদিও প্রতিদিনই ওর ভয়ে কুঁকড়ে পালিয়ে গেছি,

বিশাল চায়ের কাপ সাদা কালোর মিশেলে এক কোণে

গোপন গভীর কষ্ট নিয়ে প্রতীক্ষায় থাকবে কখন হবে চুমুকে চুমুকে

সকালের নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি আর উত্থান পতনের গল্প,

পুরনো ফোনটি বালিশের নীচে অপেক্ষা করবে চুপচাপ নিত্যদিনের

হালকা গাঢ় খুনসুটি শোনার; থাকবে অপেক্ষায় হয়তো কোথাও

কোনো কোনো মানুষ, কয়েকজন মাত্র, এখানে সেখানে।

 

অপেক্ষায় আছি

​                        এমন ঘুমের কোনো কিছুতে যা আর কোনোদিন ভাঙবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন