বোবা ইচ্ছেফুল
স্টেশন চত্বরে, ঘাসের সবুজ বিষপাতায়
বোবা ইচ্ছে ফুল ঘুরে বেড়ায়।
পাহাড়ী হাওয়া লেগে মাতৃকোষের নিষ্পাপ কুরুবক
একটু যেন দুলে উঠলো।
কপালে তৃতীয় চোখের মনিকটাক্ষ নেই বলে
ত্রিকালেশ্বরের জটার শব্দ ও নৈঃশব্দের ভেদরেখা
খনি যুবকের কাছে স্পষ্ট নয় _
পতঙ্গভুক উদ্ভিদের বসন্ত হাওয়ায় 999 ধাপ নামে
আনন্দজ্যোৎস্নায় আদি রমনীর রক্ত রস পান করে,
নেশা জমে ওঠে।
এখন শরীরের গোল ছায়ায় মায়াডোর
কাঁকনি দানার মতো ছড়িয়ে আছে।
ঊষা ভোরের
রোদ্দুর কাকনিদানাদ্খুঁটে খুঁটে খায়
তারপর দিনরাত্রির অমলতাসের ডালে বসে
ছোট্ট পৃথিবীটাকে দোল দেয়।
মায়ার পাখসাট উড়তে উড়তে পৃথিবীপৃষ্ঠের
পিঙ্গলহলুদ অংশ পার হয়ে গেল,
এখানে অ্যারিস্টোটল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেঘের ডমরু ত্রিশূল।
স্টেষন চত্বরে, নিষ্পাপ মাতৃকোষের মুগ্ধফুলে
বোবা ইচ্ছেফুল ঘুরে বেড়ায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন