আলোর পৃথিবী
(১) মেঘদূত
হলুদ আলো-ডানার পাখি
ফেলে গেল পালক রাঙানো ইচ্ছাগুলো!
সন্ধ্যা নামার একটু আগে
বালক কুড়িয়ে নিলো ম্রীয়মাণ ইচ্ছাটি!
এখন সে তার ইচ্ছামতো
রঙে এঁকে নিতে পারে ধূষর মেঘগুলো!
(২) সূর্যগ্রহণ
নীল রঙের গ্রহটি ততটা নিবিড় নয়
সৌরজগতের সূর্যও গভীর মনে হয় না
শুধু ধূমকেতু নিজেকে জ্বালাবার শেষে
সূর্যালোকে চিহ্ণ রেখে যায় মিথ্যা কলঙ্ক
(৩) লাজুক সম্ভাষণ
অজস্র কল্পনার পরেও কিছু কথা
নিরুত্তর থেকে যায় বর্ণহীন কথকতায়
তাকে তুমি আশ্রয়ে বেঁধে রেখো
প্রশ্রয়ে খুঁজে পাবে সাহসী চুম্বন
যেখানে তুমি থাকো কল্পহীন চুপ
কোমল ভালবাসার লাজুক সম্ভাষণ!
(৪) মুগ্ধ নিশাচর!
কাকচক্ষু জলে স্নানে নেমেছে নারী
সাঁতারু নৈপূণ্য খোঁজে জলকারুকাজে!
কবি ভালবাসে নারীর সুক্ষ্ম প্রসাধন
প্রেমিক প্রবল তৃষ্ণায় সাঁতরায় সুমুদ্দুর!
স্নানরতা নারীর সেইসব নিরিহ প্রশয়
আলিঙ্গনে লুকিয়ে রাখে মুগ্ধ নিশাচর!
(৫) নষ্টচন্দ্রের রাতে
পাহাড় ডিঙাও যদি নষ্টচন্দ্রের রাতে
আঁচল পেতে দেব সিঁড়ি ভাঙার পথে
আমি যেন লাজহীন ভিখারী নারী
প্রেম বিনা কোন ভিক্ষা নাহি মানি
কবিতা অসাধারণ।
উত্তরমুছুনকয়েকটি বানান ভুল কবির বিপক্ষে যায়।