রিপোর্ট
নিজস্বসংবাদদাতা: মুর্গালড়াই সমিতি, কর্ণক্ষেত্র
আজ অতিমার হিংস্র বদতমিজ লড়াইয়ের মুর্গাটি নিহত। না, এখন কোনো পরবের সময় নয়। তবে এই মুরগাটি এমন বলশালী, কখনো কোনো লড়াইয়ে হারতো না। ওর উপরে যারাই বাজী রাখতো,জিতে যেত। এটির মালিক অনেকগুলিই। তবে সমিতিতে এবার যিনি অধ্যক্ষ নির্বাচিত তিনি তান্ত্রিক। এখন তিনিই লড়াইয়ের চারণ ক্ষেত্র তৈরি করেন। খবর এই যে, প্রতিপক্ষ হারবেই, তা নিশ্চিত জেনেও এই মুরগাটির পায়ে যে তীক্ষ্ণ ছুরিটি বেঁধে দেওয়া হতো তাতে বিষ মেশানো হতো,যাতে নিহত পক্ষীটির মাংস যারা খেত তারাও অসুস্থ কমজোর হয়ে পড়ত। এমনিতেই হামেশা জোর করে জুয়া খেলতে বাধ্য করায় তারা সর্বসান্ত হয়ে কমজোর প্রতিবাদহীন। এই পরম্পরা দীর্ঘদিনের। কোনো পক্ষের কারো কোনো ওজোর আপত্তি থাকতো না। তবুও চলতো ওই মুর্গাটিকে ব্যবহার নিয়ে পলিটিকস। প্রতিটি লড়াইয়ে বীভত্স জিত হওয়ার জন্য ইদানীং এই লড়াকু মুরগাটির আচরণ বেশি মাত্রায় হিংস্র হয়ে গিয়েছিল। গতকয়েকদিন আগে ছাড়া পেয়ে মুর্গা খোঁয়াড়ের বেশ কিছু পক্ষীর হত্যা করে উড়ে পালিয়েছিল। সেটিকে আজ একটি পাঁচিলের ধারে মৃত পাওয়া গেছে। খবরে প্রকাশ যে পাখিটি উঁচু দেওয়াল উড়ে পার হবার সময় নিজের ছুরিতে চোট লেগে মরে। এটি অধ্যক্ষ মশাইয়ের কথা কিন্তু অন্য ভাগীদার সন্দেহ প্রকাশ করছেন। যাইহোক। মুরগাটি বেশ ভারী ছিল। তার মাংস রান্না করে অধ্যক্ষ বাদে সব পক্ষই আজ পার্টি করবেন। তবে যে খেরো খাতাটিতে সেই পক্ষীটির দ্বারা উপার্জিত জমা রাশি ও তার হিসাব কিতাব,সেটি এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন