শনিবার, ১ মে, ২০২১

নীলাদ্রি দেব-এর কবিতা


করিডোর, কামরাঙা গাছ 

চারপাশে আলো, তবু আলো নেই 

মাঝির গান শুকিয়ে এসেছে 

দূরে জলজ কোনও পাখি উড়ে যায় 

লিখে রাখতে ইচ্ছে করে ডানার আওয়াজ 

অথচ দেওয়াল বরাবর আমার পিঠ 

পিঠ ঠেকে ছিল, এবং আছে 

এরপরও কেন 

কেন লেখার ব্যর্থ চেষ্টা, অন্যায় অক্ষরের স্তূপ 

                                                  ... জানিনা 

সময় উসকে দিয়েছে বারবার 

অজ্ঞান হয়েছি নিজস্ব অন্ধকারে 

একটি নতুন শব্দও কুঁয়ো থেকে উঠে আসেনি একা

স্বপ্ন, হালকা কিছু স্বপ্ন শুধু রাস্তা পেরিয়েছে 

                                          ট্রাফিক সিগনাল মেনে

এতেই ভুলে গেছি স্বপ্নের ক্যানভাস 

কোনও নিখুঁত মুখ অস্বস্তিতে ফেলেছে বারবার

ক্লান্ত হয়ে গেছি নদীর কোলে 

ভাঙা স্রোত কেন কতবার ছুঁয়ে দিয়েছে 

অবাক বিস্ময়ে দেশলাই বাক্স ভাসিয়ে দিয়েছি 

                                            মৃতনাভির পাশে

চারপাশে ডুবে থাকা বাঁশ 

গিঁট গিঁটের মাঝে যতটা প্রস্থ, ততটাই জমি চাই

জমি... সামান্য আশ্রয় 

ডানাহীন বক হয়ে আছি 

কত পাখি উড়ে যায় 

আকাশেও লেগে থাকে কস্তুরীঘ্রাণ 

ওপরে ট্রাফিকজট, মাঝে নিচে 

তবু কেন পথ

পথ থেকে পথের মিছিল, হাতছানি দেয় না আর

আমি, এতো এতো মুখের আমি 

নিজেকে অস্বীকার করতে ইচ্ছে করে 

এরপরও হাজার ওয়াটের নিচে কবিতা পাঠ করি

আর স্বর শুনে দূরে হেসে ওঠে শেয়াল 

সময় হলুদ হয়ে আসে 

বিছানার পাশে ছড়িয়ে থাকে 

                       অজস্র সমীকরণ সেলাই

মেরুদণ্ড ভেঙে ভেঙে যায় রোজ 

বাঁশপাতা নিচু হয়ে এলে 

       শেকড়ের পাশে ফেলে রাখি সাপের খোলস

শীত থেকে তীব্র শীতে ঢুকে যাই 

কফিনের কাঠে শরীরের ছাপ

                   উঠে আসা বোতামের পবিত্র প্রতিলিপি

1 টি মন্তব্য: