মৃত অবয়ব
মোরগ লড়াইয়ের মাঠে এসেছে সকলে পাথুরে ভীমটিলা
পেরিয়ে গরাণহাটার আশুরুদ্দিন, মংগাহাটের সতীশ মণ্ডল
জলচৌকির সুদর্শন মাঝি সীতাকাটির জমিদার চেলা
হলুদ ছোপানো ধুতি বেতোয়ার নতুন জামাই আর হল্লাবাজ যুবকের দল।
খোঁপায় রক্তজবা গুজে নৃত্যকালী সাওতাল রমণী
বিনম্র উল্লাসে মাতে মোরগের ক্ষিপ্র রক্তে লাল পাড় শাড়ির জমিতে
তার চোখে রেখে যায় রজঃশিলা পৃথিবীর ছাপ ভয়ার্ত রমণী
শিশুকে স্তনে ভুলিয়ে নিয়ে যায় দূরবর্তী টিলার অদ্ভূতে।
বিবর্ণ আকাশপটে মাতাল বর্ণরেখা করে কাটাকাটি
অপরাহ্নে অন্তবর্তী হৃৎপিণ্ডের দ্রুত কোলাহল
মোরগ অদৃশ্য হয়, চকিত আক্রমণে ছিন্ন নিজেদের টুটি
আবির ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে, রক্তের আবির মাখে
পশ্চিমের সুউচ্চ মহল।
বিদগ্ধ সঙ্গিনী তার ভীরু দৃষ্টি মেলে চেয়েছিল অশ্বারোহী
পাহাড়ের পারে, শত শত মোরগের ঝুটির জ্যোৎস্নায় নীরব
প্রসন্ন প্রান্তর যেন বয়োবৃদ্ধ বিরহের বিবাহবার্ষকী
কার ঘর শূন্য করে পড়ে আছে মানুষের মৃত অবয়ব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন