শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

রজতকান্তি সিংহচৌধুরী-র কবিতা

নতুন সময়ে

নতুন সময়ে 
ভালোবাসা 
নয়া সংজ্ঞা চায়
নতুন, ঝাঁ-চকচকে

আজ এই 
অধুনান্তিক সময়ে
শরীরী টানের কাছে
হার মানে আত্মিক মিলন

হৃদয়ের চেয়ে 
বড় হয়ে দাঁড়ায় শরীর
এমনকি তার প্রত্যঙ্গ 
ছোঁয়া চুমু জড়ানো 

কবিদের কোন প্লেটো
নির্বাসন দিয়েছিলেন 
প্রেমিক-প্রেমিকারা আজ 
প্লেটোকেই নির্বাসন দিয়ে 

মনোনিবেশ করেছে
গুপ্ত অঙ্গগুলোয় নির্বসন
কত অসুন্দর আর কী নীচ
সেসব কথা গায়ে না মেখেই

প্রেমে পড়া এখনও
তরী বাওয়াই
তবে প্রৈতির প্ররোচনায় বা গতির আনন্দে নয়
পারানির কড়ির হিসেব রাখতে

নিজের অজান্তেই 
প্রেমিক-প্রেমিকারা এসে পড়েছে
সোশ্যাল মিডিয়ার ছায়ায় 
ধরা পড়েছে অন্তর্জালে, অন্তর্বাসে

ইলেকট্রন আর
প্রভাতদার দক্ষিণের বাগানে 
ফলে-ওঠা উৎফুল্ল 
কুমড়োটির মধ্যিখানে। 

 


স্বর্ণশিখরের কবিতা 


প্রতীক্ষায় থিরথির দুই কাঞ্চন জঙ্ঘার  সংগমে  

আরোহে উত্থিত দৃঢ় শীর্ষযাত্রীর শিকড় আমূল সংঘাতে উদ্ভিন্ন শিখরে  লালিমা লিখে যায়। 

কঠিন হিমাদ্রি গলে, নির্মল শুভ্রতা তার বিগলিত করুণার মতো নেমে আসে প্রত্যাশী পৃথ্বীর কক্ষপুটে।

দশমী দ্বারের মুখে অঙ্কুরের চাবি দিয়ে শ্যাম শষ্পাবৃত  সরস ওই অবারিত অরাল কন্দর  

হু হু করে রসের উৎস্রোত, রসাল কল্লোলে সৃষ্টি-সুখের জোয়ার। ঝরনা নামে। কলোচ্ছ্বাসে ঝরে পড়ে। কঠিন পাথরে কীর্ণ আশঙ্কাসংকুল যাত্রাপথে লাবণ্যশাণিত দৃষ্টি দুর্গমকে কৌতুকে ভ্রুভঙ্গ করে। 

মৃত্যুর সম্মুখে হেসে ওঠে জীবনের ক্রমপ্রসারণ। গ্রস্ত উপত্যকা প্রাণ পায়। ক্রমবলয়িত হয় ক্রমশ জীবন।।


রশ্মির উজ্জ্বল জন্ম দীপান্বিতা কাঞ্চনজঙ্ঘায়।

1 টি মন্তব্য: