বেইমান দেউড়ি
সৃষ্টিসূত্রে যাতায়াতের অভ্যাসে অক্ষর উপত্যকায়
আমার পরিচিতি জন্মেছে কিছুটা।
গড়িয়েছে বহুদূর জল… ছোট নাও আমার, ভয় পায় বেয়ে যেতে
আসা-যাওয়ার পথের বাঁদিকে, ব্যথাদের রঙ গাঢ় হয়ে এলে
দূরে ক্ষয়িষ্ণু রক্ত রঙের ইটের পাঁচিল-খাঁজে খুঁজে পাই
অজস্র হতবাক বিশ্বাসঘাতকতা।
বেইমান দেউড়ি পার হতেই স্পষ্ট হয় সেসব অতৃপ্ত আত্মা…
ঘৃণিত রাজনীতি, পারিবারিক অসুস্থ দংশন আর নানান
সামাজিক ও বান্ধব প্রতারণা জানান দেয়…
আমার শেষ স্বাধীনতা যুদ্ধে কোন রক্তপাত হয় নি।
ব্যাভিচারি আলেয়া সাক্ষী থেকেছে শুধু নেশাগ্রস্ত বমনের মতো
অলিন্দে অলিন্দে বাতি দেওয়ার ক্ষমতার খেলায়।
ক’টা দিন তাই চুপ থাকাই ভালো।
ভেতরে বাইরে ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে দূরবীন আলো।
পছন্দ, অপছন্দের নিরাময়ের খেলায় চলছে পিপাসার কেনাবেচা
ডিজিটাল শিরদাঁড়া, ইচ্ছুকদের ঠোঁটে গুঁজে দেয় আম আঁটির ভেঁপু
হাওয়া এখন বিপরীতমুখী… বেইমান দেউড়ি পেরিয়ে উড়ে যায় পালক
হয়তো মাতৃঋণ… বিশ্বাসঘাতকতা বড্ড তেজস্ক্রিয়!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন