সম্পাদকের নিবেদন
‘কবিতা’-র জন্য কিছু কথা। কবিতা আমাদের মনকে আন্দোলিত করে, মানবিক চেতনার জাগরণ ঘটায় অর্থাৎ দার্শনিক ভাবনার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ ঘটায় বলেই মনে হয়। কবিতার ক্ষেত্রে যথার্থ শব্দচয়ন গুরুত্ব পেয়ে থাকলেও, সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতাও আছে। একজন কবি দার্শনিকের দৃষ্টিতে সময়কে আঁকেন। একজন যথার্থ পাঠক সেই ভাবনায় আন্দোলিত হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করেন। একটা দারুণ আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে কবিতা জন্মলাভ করে। তবুও প্রশ্নচিহ্ন জড়িয়ে ধরে, ‘কবিতা কি?’। সত্যিই কি কবিতাকে সংজ্ঞায়িত করা যায়? প্রকৃতিপ্রেমিক রোমান্টিক কবি বলে ওঠেন, কবিতা অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রবাহ। সময়ের দাবি মেনে কবিতায় তথা সমগ্র শিল্পকলায় বার-বার বাঁকবদল ঘটে থাকে এবং ঘটে চলেছে। ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে মুক্তিলাভের উদ্দেশ্যে কবিতা রচিত হয়ে থাকে। সবটাই মানবিক বলাইবাহুল্য।
যেমন একসময় প্লেটো বলেছেন, শিল্প হচ্ছে ইমিটেশন বা নকল এবং এ কারণেই সত্য থেকে অনেক দূরে। প্রতিউত্তরে অ্যারিস্টটল বলেছেন, যেহেতু ইমিটেশনের মাধ্যমেই পৃথিবীতে মানুষ সচল এবং সজীব থাকে, তাই শিল্প সত্য বস্তুর চেয়ে অধিকতর জীবন্ত।
একজন শিল্পীর অনুভব, কল্পনা ও বোধের সুপ্ত তরঙ্গে পার্সেপশন যতক্ষণ না উন্মোচিত হয়, ততক্ষণ তাঁর এক্সপ্রেশন বা প্রকাশ-ক্ষমতাও সৃষ্টি হয় না। কেবল ব্যাকরণ বা ছন্দের নিয়ম মেনে শব্দ সাজিয়ে গেলে বা রেখা-রঙের প্রয়োগে নিয়ম মেনে ছবি আঁকলেই যথার্থ কবি বা শিল্পী হয়ে ওঠা যায় না। এজন্য অনুভূতির তীব্রতা অর্জন করতে হয়।
তাই জীবন ও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কবি কবিতা লিখতে থাকেন। কবিতার দীক্ষিত পাঠক কবিতার শক্তি স্পর্শ করে নিবিড় এক বীক্ষণে জড়িয়ে পড়েন।
সকলে ভালো থাকুন। সকলকে শারদ উৎসবের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন –––
রোশনি ইসলাম
সোনালি বেগম
অভিনন্দন জানাই । আপনাদেরও শারদ শুভেচ্ছা
উত্তরমুছুনখুব ভালো সম্পাদকীয়। আমার মনের মতো। প্লেটো ও অ্যারিস্টোটলের উদ্ধৃতি উত্তম সংযোজন।
উত্তরমুছুনসঠিক শিল্প ভাবনা। সুন্দর লেখা।
উত্তরমুছুনসম্পূর্ণ সহমত। কবিতা সম্পর্কে চমৎকার বিশ্লেষণ ভালো লাগল। রঙিন ক্যানভাসের সম্পাদকীয় সর্বদাই নতুন কিছু উপহার দেয়। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর সম্পাদকীয়। খুব ভালো লাগল।
উত্তরমুছুন