জারবেরা ফুলের মতো সোজা দাঁড়িয়ে
প্রতিরোধ, করি তো তোমাকে।
আগলাই, জল দিই, পুষ্টি,
আরও কত কিছু।
কি অসুখ এ তোমার বাকলে?
চেতনা হারিয়ে দুর্বোধ্য হও বারবার।
এ কি পূর্বজন্ম থেকে এসেছে ফিরে?
আকাশ ভাবি, পাতাল ভাবি,
কর গুণে গুণে সময় দেখি।
এ রাক্ষসজন্ম কে দিল তোমায়? হে বৎস,
পিতা? নাকি তাঁরও পূর্বের কোন রাক্ষসসম প্রাণ?
আর ডিম ফুটতে দেবো না,
কাঙাল হবো না,
নির্বোধ হয়েও কিবা লাভ বলো?
কঠিন পাটাতনের মতো হবো এবার।
মাখনের মতো গলতে চাইলে মন
শাসনে শাসনে নির্লিপ্ত করে দেব
যত ইচ্ছেগাছ।
এই যে চেতনা যত লুপ্ত হয়ে আসে,
বলো কোন মহৌষধি সারাবে রোগ তোমার?
মাঝেমাঝে মনে হয় সব শেষ বুঝি,
সান্ত্বনা নামে কোনো শব্দ বেঁচে নেই।
পরের দিন আচম্বিতে কে এক পাখি
তবু জানলায় এসে বসে, বলে,
'ওঠো,জাগো,
বিষণ্ণতা ধরে নাড়া দাও অসীমে।'
ভয়ের মতো শীত কিংবা শীতের মতো ভয়
ঠেলে উঠি অবশেষে,
অলৌকিক প্রেত যেন এক।
এদিক ওদিক হাত পেতে
চেয়ে নিই সাহস।
আগলাতে তো হবেই।
আত্মজ সে।
মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
উত্তরমুছুন