শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০২১
পরিচিতি
কবি ও শিল্পী নাসের হোসেন
জন্মঃ ২.১.১৯৫৮, কলকাতা
মৃত্যুঃ ৯.১২.২০২০, কলকাতা
শৈশব ও কৈশোরঃ বহরমপুরে। জ্যাঠামশাই প্রতিষ্ঠিত ক্লাবে কবিতালেখা, ছবি আঁকা ও ব্রতচারী চর্চা।
শিক্ষা এবং শিক্ষালয়ঃ বহরমপুরে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাপীঠ। কৃষ্ণনাথ কলেজে বি.এস.সি. পাঠরত অবস্থায় ‘দ্য লাস্ট পেজ’ দ্বিভাষিক পত্রিকার সম্পাদনা।
১৯৭৪ সালে কৃষ্ণনাথ কলেজেই প্রথম যৌথ চিত্রপ্রদর্শনী।
প্রথম একক চিত্রপ্রদর্শনীঃ ১৯৮৪ এপ্রিল বিড়লা একাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচার-এর কনটেমপোরারি গ্যালারি-তে।
একক কাব্যগ্রন্থঃ ২৬টি। অপারেশন থিয়েটার। আলপিননামা। লাফ। প্রভৃতি...।
ই-বুকঃ জিমন্যাশিয়াম ২০১৩ ।
গদ্যরচনাঃ ১৯৭৫ থেকে কবিতা, চিত্র ও ভাস্কর্য বিষয়ে অজস্র গদ্য লিখেছেন।
অনুবাদকর্মঃ ১৯৭৫ থেকেই প্রচুর অনুবাদ করেছেন। আলিয়ঁস ফ্রাঁসে (ফরাসি), ম্যাক্সমুলার ভবন (জার্মান) এবং সাহিত্য অকাদেমি আয়োজিত অনুবাদ ওয়ার্কশপে আমন্ত্রিত হয়ে অনুবাদ-কর্মে অংশগ্রহণ করেছেন।
সম্পাদনাঃ ‘কবিতাপাক্ষিক’-এর অন্যতম সম্পাদক।
চারবছর ‘কবিতাপাক্ষিক’-এর প্রধান সম্পাদক।
‘রৌরব’ (১৯৭৫-২০০৪), ‘উতল হাওয়া’, ‘সৃষ্টিকোণ’, ‘নিনি’ এবং অন্য কিছু পত্রিকার সম্পাদন-সহযোগী।
ছদ্মনামঃ অর্জুন মিশ্র। এবং আরো কিছু...।
পুরস্কার/সম্মাননাঃ ১৯৯৮ অনন্য রায় পুরস্কার। ২০০৬ অশোক মহান্তী পুরস্কার। ২০০৭ ‘মনীষা’ পত্রিকার সম্মাননা। ২০০৮ সাল থেকে পাঁচ বছর সাহিত্য অকাদেমি (নিউ দিল্লি)-র অ্যাডভাইসরি বোর্ডে কোর-কমিটির সদস্য কবি-ব্যাক্তিত্ব ২০১৩ বীরেন্দ্র পুরস্কার। আরো কিছু।
নাসের হোসেন
সম্পর্ক
সব নারীকেই পবিত্র মনে হয়
সব নারীকে।
আমাকে যে দিয়েছে এবং দেয়নি
সকলকে আমার রক্তাক্ত ভালোবাসা
দিয়ে যেতে চাই।
কোনো সম্পর্কই সম্পর্ক নয়
শুধু এক উপলব্ধি, দহন।
বুকের ভিতর পুড়ছে ধূপগন্ধ
ধাক্কা মারছে শরীরে।
একটু পরেই দগ্ধ গলিত শব
ভেসে যাবে নীল দরিয়ায়।
সম্পর্ক বলে কিছু নেই
শুধু আছে ধূপগন্ধ। আর
একটা পাহাড়ের স্বপ্ন
যা মাঝে মাঝেই ধাক্কা দেয়, যেখান থেকে
শেষ পর্যন্ত ছুড়ে দেওয়া হবে আমাকে
সমুদ্রের ফেনায়।
(কাব্যগ্রন্থঃ অপারেশন থিয়েটার)
নাসের হোসেন
পাথরের চোখ
আমি আমার চোখের উপরে বসিয়ে নিয়েছি
আরো দুটি চোখ, পাথরের, স্বভাবতই সবকিছু দেখতে পাব বলে নয়,
আমি কোনোকিছু না দেখে কেবল
অনুভব করতে চাই, এই জোড়া দাঁত হাঁ করে অপেক্ষা করতে চাই
আজীবন; দেখা যাক পাই কিনা।
মানুষ, আমি তোমাদের কাছে আসছি, এখন
কেউ আমাকে পথ বলে দিও না, আমি চোখের উপরে
বসিয়ে নিয়েছি চোখ, পাথরের।
(কাব্যগ্রন্থঃ ডানা)