রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫

সম্পাদকের নিবেদন

 

সম্পাদকের নিবেদন

মনোবিশ্লেষণের প্রবর্তক প্রফেসর সিগমুন্ড ফ্রয়েড (১৮৫৬-১৯৩৯) গ্যালিলিও যেমন জ্যোতির্বিদ্যায়, ফ্রয়েডও তেমনি মনস্তত্ত্বের ক্ষেত্রে। তিনি বলেছেন যে মানুষ বয়স্ক হতে হতে জীবনকে আরও বেশিমাত্রায় অসহনীয় করে তোলে। মৃত্যু মনে হয় শেষ পর্যন্ত অনেক কমমাত্রায় অসহনীয়, তিনি মনে করতেন। তাঁর অনুভবী হাত দুটিতে ফুটন্ত ফুলের কোমল স্পর্শে, তিনি এই বলে গুরুত্ব দিতেন যে মৃত্যুর পরে যা-কিছুই ঘটুক না কেন, তার চাইতে তিনি, এই প্রস্ফুটনে অনেক বেশি আগ্রহী। তিনি অবশ্যই নিরাশবাদী নন। জীবনের ছোট ছোট উপভোগগুলিকে তিনি গুরুত্ব দিতেন।

নিজেদের মনোবিশ্লেষণের উপর তিনি জোর দিতেন। তবেই, অন্যদের আরও ভালোভাবে মনোবিশ্লেষণ করা সম্ভব। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সবকিছুকে বোঝার অর্থ কিন্তু সবকিছুকে ক্ষমা দেখানো নয়। মনোবিশ্লেষণ আমাদের শেখায়, যাকিছু আমরা সহ্য করতে পারি, শুধু তাই- নয়, এমনকি এও শেখায় যে, আমাদের কী কী এড়িয়ে চলা উচিৎ। এবং এর থেকে এও শিখি যে কাকে অবশ্যই নির্মূল করতে হবে।

ফ্রয়েড মানুষের সমাজ থেকে পশুদের সমাজকে অসীম মাত্রায় পছন্দের কথাও বলতেন। ফ্রয়েড ভাবতেন যে জটিল সভ্যতার সঙ্গে অসম্পূর্ণ সমঝোতায় বিপদগ্রস্ত হয়ে মানুষের অসম্মতিজনক অভ্যাসগুলি, এবং শ্রদ্ধার অভাববোধ জন্ম নেয়। বরং একটি কুকুরের সুতীব্র আবেগ, কতোই না সরল খোলামেলা।

ফ্রয়েড যৌনতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। আবার মৃত্যুকেও প্রায় সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই আত্মাহুতির একটি পদক্ষেপ হিসেবে কোনও কোনও মানুষ যন্ত্রণাকে ভালোবাসেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে যৌনতার যদি অভাব থাকে, তাহলে সমস্ত কিছুরই অভাব ঘটে। সমস্ত মানবিক ব্যাপারের আদি চালিকাশক্তি প্রেম ভালোবাসা-কে তিনি বিশেষ প্রাধান্য দিতেন। যিনি অবলীলায় মন্তব্য করতে পারেন যে ফুলগুলির সৌভাগ্যবশত না আছে চরিত্র, না কোনও জটিলতা।  তাই তিনি ফুলদের বেশি ভালোবাসেন।

সিগমুন্ড ফ্রয়েড মনস্তত্ত্ববিদ হিসাবে বিশাল পরিসরে বিরাজ করেন। মহান অস্ট্রিয়, সত্তার গহীন জগতের আবিষ্কর্তা তিনিই প্রফেসর সিগমুন্ড ফ্রয়েড। 


রঙিন ক্যানভাস’-এর সমস্ত লেখক পাঠককে আন্তরিক শ্রদ্ধা শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সকলে ভালো থাকুন। 


রোশনি ইসলাম

সোনালি বেগম

২টি মন্তব্য: