রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫

কুন্তল দাশগুপ্ত-র কবিতা

পাগল-কথা

আচ্ছা, কাছে থাকলেই বুঝি কাছে পাওয়া হয়?
দুই বাহু ছাড়া বুঝি জড়ানো যায় না?
আলো পাও না!
জড়িয়ে থাকে না বায়ু!
আলো, হাওয়া দৃশ্য নয়, অনুভবের।
তুমিও তো তাই-ই।

পরাবাস্তবিক?
না তো।
ভারি স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক
তাই,বাস্তবিক।

ঢের দূরে আছ।
কত?
ঘন্টা-মিনিটে হিসেব কষিনি
তবে গুণে পেয়েছি,বছরের হিসেব অর্বুদে অর্বুদে… 

অনুভূতি এক, দিঘি-জল।
এ-পাড়ে ঢেউ দিলে ও-পাড় বুঝে নেয়।
বোঝাবুঝিটুকুই তো পারাণি আমাদের।

রং হল, ঢং হল, বাসাবাসি হল,
তবু…

ডালে বসা পাখি আর দাঁড়ে বসা পাখিদের রীত বিপরীত। আকাশে আকাশে ভেসে হা-ক্লান্ত 
পাখি রোদে ভিজে, জলে পুড়ে, ডাল ভুলে ডানা মোড়ে দাঁড়ে। 
বুলি বলে।
মনে, ঘুমিয়ে থাকে বন-গান।
বুকের বায়ু-থলিদের  বাড়াবাড়িতে বুনো শিস দিয়ে ওঠে রাতে।
বাতাসে তরঙ্গ তুলে ভেসে গেলে বুনো সুর কোনো দাঁড়ি শুনে নেয়।

অনুভূতি-দিঘি-জল কেঁপে কেঁপে চাঁদের ছায়াকে রেণু রেণু ক'রে দেয়।

দাঁড়ের শিকলখানি ঘুঙুরের মত বাজে…
প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত মায়াবী-মারীচ আকাশকে বেঁধে ফেলে ফ্রেমে।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন