কত দূরে মানুষেরা থাকে,
দেখতে-দেখতে এক একটা দিগন্ত পেরিয়ে
উধাও হয়ে যায় চোখের তেপান্তর,
চোখ শেষে জিজ্ঞাসা করে
দিগন্তে নেমে যাওয়া মেঘকে ---
মানুষের গ্রাম কোথায়।
দিগন্তে নেমে আসা মেঘ বলে --
আমিও জানিনা।
চোখ তবু হেঁটে যায়,
তারপর একদিন দাঁড়িয়ে পড়ে আরেক দিগন্তে ---
আর পারছি না,
একটা গাছের ছায়ায় বসে পড়ে,
আহ কত ছায়া,
তারপর সামনে জলাশয় দেখে
সেখানে গিয়ে জল পিঁয়ে
শরীর ঠান্ডা করে
গাছে কাছেই ফিরে এসে
নিচে ছায়ায় শুয়ে পড়ে,
আহ কী সুন্দর বিশ্রাম, তারপর ঘুম,
এই গাছের ছায়ায়।
তারপর নিজেই সে ছায়া হয়ে একদিন।
ভালোবাসা কোথায় পাবো
সকলেই ভালোবাসা চেয়ে দিনরাত দৌড়ায়,
একটা শব্দ শুধু, কেউ বলে প্রেম,
কেউ বলে ভালোবাসা।
এই একটা শব্দে কী আছে এমন।
কিন্তু এটা নিয়ে দিনরাত ছোটাছুটি, ঘুম,
আর ঘুমের পরেই ফের ব্যস্ততা,
এর জন্য, এর অস্তিত্বের প্রমাণের জন্য,
যে এটাকে বহন করে আমার জন্য
প্রতিজ্ঞা করেছিল,
সে কতটা সত্যি বলছে।
এই নিয়ে মানুষের মর্মান্তিক জীবন।
এই নিয়ে মানুষের অকারণ রাগ, প্রতিহিংসা,
এই নিয়ে মানুষের নির্যাতনের কাহিনী
বা রেপ, খুন ও অভিযোগ।
কী একটা শব্দ, প্রেম,
ছদ্মবেশে বিরাট শয়তান।
ঈশ্বর কেঁদে ফেলেন, আমার এই কথাতে।
আমি তাঁকে প্রবোধ দিয়ে বলি,
প্রেম যখন তোমার কাছে থাকে
সে তখন প্রেম,
পশুপাখি, কীটের মাঝে গেলেও
সেটা প্রেম থাকে।
মানুষের কাছে এলে হয়ে যায় বিরাট শয়তান।
ঈশ্বর তখন বলেন,
তাহলে কি মানুষের মাঝে আমি প্রেম দেবো না?
আমি বললাম, না, একদম না।
কারণ, মানুষ প্রেমকে ধারণ করলে
সে হয়ে ওঠে বিরাট শয়তান।
ঈশ্বর তখন বলেন,
তাহলে মানুষ জীবনের স্বাদ পাবে কিসে?
আমি বলি, নিজেকে নিঃস্ব ভেবে।
খুব সুন্দর ।
উত্তরমুছুনভালো
উত্তরমুছুন