মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মহুয়া দাস-এর অনুবাদ কবিতা


প্রেইস এম কে এনখোমা

অক্ষম কবি

গত গ্রীষ্মের কথা। 
দুঃখের প্রাচীর আমার সামনে দাঁড়িয়ে, 
তবু আমি আমার জোয়াল টেনে চলেছি। 
যন্ত্রণায় নীল হয়ে ওঠা গলার কষ্টগুলো
আমি গিলে ফেলেছি অবলীলায়,
ভিতরে জেগে ওঠা নরককে ও তার
সমস্ত কষ্টকে আমি নিভিয়ে ফেলেছি। 

প্রত্যয়ের প্রতিটি সুতোকে 
আমি আপ্রাণ চেয়েছি, 
এবং হয়ে উঠেছি তার সূক্ষ্মতম তন্তু। 
যত রকমের রং আমি দেখেছি
অনুভব করেছি চলার পথে, 
সব রকমের আঘাত থেকে
নিজেকে সরিয়েছি কোনরকমে, 
আড়ম্বরপূর্ণ পথের পাশে 
নাচতে চেয়েছি কি মহিমায়! 
কিন্তু হায়! 

সমালোচনা এসেছে, আসবেও
আমি হেসেছি, কি করে আঙুল বাঁকাতে হয় শিখেছি, 
এবং শিখেছি চামচ ধরতে, 
সেটা আর কিছু নয়, আমার কলম। 
ফাঁপা সব অনুভূতিকে, 
আমি বিসর্জন দিয়েছি 
কিছু সত্যির জন্যে। 

সব চোখ আমার দিকে চেয়ে 
থমকে গেছে, 
তবে আমি পাথরের মূর্তি নই, 
"আমি এক নিরক্ষর কবি, 
যে শুধু লিখতে চায় তাদের জন্যে
যারা কবিতা পড়ে না, 
আমি কৃষিকাজ জানা কবি, 
যার চোখ থাকে বইয়ের ছবিতে", 
সুতরাং আমি মঞ্চ ছেড়ে দিলাম।


[প্রেইস এম কে এনখোমা একজন অতুলনীয় কবি ও লেখক, যিনি বাস করেন দক্ষিণ পূর্ব আফ্রিকার মালাউইয়ে। মালাউই পাহাড় ও জলরাশিতে ঘেরা এমন একটি স্থান, যাকে ঘিরে রয়েছে জাম্বিয়া, ইউনাইটেড রিপাবলিক অফ তানজানিয়া এবং মোজাম্বিক। এখানকার মূল ভাষা নিয়াঞ্জা, যা চেওয়া নামেও পরিচিত ও ইংরেজি। আরও প্রায় দশটি স্থানীয় ভাষা এখানে আছে। প্রেইস এম কে এনখোমা মূলত ইংরেজি ভাষাতেই তাঁর লেখাগুলি লেখেন। এই তরুণ কবির লেখা কাব্যগ্রন্থ "Eyes glazed with love" অসাধারণ একটি কবিতা সংগ্রহ। এই তরুণ কবি 'গ্লোবাল প্যাসনেট রাইটার্স' নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সহ প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর অসাধারণ কবিতা ও গদ্যের জন্যে অসংখ্য পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।] 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন