মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রণব চক্রবর্তী-র কবিতা

এই জ্বলে, এই তো ভ্যানিশ

কোথাও যায়নি কেউ অন্য কোনও কাজে
নিজেকে খোদাই হব বলে ওরা পথে নেমেছিলো
কেউ তারা ফিরে আসে কেউ ফিরে আসতে পারেনা
যারা এলো কোথায় যে এলো জানাই হলো না
বস্তুত খোদাই হয়েছে শুধু মনে থাকে আর কিছু
মনে রাখার মত মন কি ছিলো কোনদিন
জিজ্ঞাসাও নেই কোন বাক্স বোঝাই শুধু খোদাই হয়েছি--

একজীবন শেষ হয়ে গেলে ছাই উড়ে চলে যায়
রেখে যায় খোদাই হওয়ার জন্য বিপুল মিছিল
হাতলে লম্বা দাগ দীর্ঘ সব রক্ত ও ঘামের
সে দাগ মোছেনা কখনও লম্বা হয় পুরু হয়
গন্ধ হয়ে থেকে যায় কারও কারও চামড়া মাংস
কেউ কেউ আলস্যমগ্ন ধীর ও নম্র পায়ে
হেঁটে যায় গাছ পাতা বাঁচাতে বাঁচাতে  
সেইসব পদছাপ গন্ধ ও ক্লান্তির খোঁজে
আমরাও পায়ে পায়ে পায়ে পায়ে খোদাই হচ্ছি...
 


চলো, খিচুড়ি রাঁধি

সব বাঁধনেরই এক শুন্যতা থাকে
সব মুক্তিরও এক বাঁধনাকাঙ্খা
ফুল্লস্তন ফুটেছিলো আলোতে দুলবে
সমাজ শিখিয়েছে এত বাঁধার কৌশল
বাঁধনে নম্রমুখ রূপশালী ধান
মুক্তি খুঁজেছে তার দগ্ধশেষ ভাত রসায়নে
কবি তাই মুক্তি ও বাঁধন নিয়ে উদোম খেলছে
বাঁধন ছেঁড়ার নেশা যতটা প্রবল
মুক্তিকেও টেনে এনে বাঁধছে বাঁধনে
প্রতিকূল প্রশ্নের মুখে বিজ্ঞানী ছুঁড়ে দেন  
গ্যালেলিও যেখানে থাকে সেইখানে পৃথিবীও--
গুরুঠাকুর মোলায়েম লিখে ফেলেন
'শিকল পরেই শিকল তোদের করব রে বিকল'!


আহা রে

সবাই সবাইয়ের ভালো চাইছে
সবাই চাইছে সবাই ভালো থাকুক  
সবাই চিৎকার কোরে, মাইক্রোফোনে
টিভিপর্দায় ঘরের দরোজায় এসে বলে যাচ্ছে
এবার আর কালোদিন নয় আলো হবে সব
বস্তুত সবাই সবায়ের জন্য ফুরফুরে বাতাসে উড়ছে
সবাই ফুরফুরে
সবাই বাতাস
সবাই উড়ছে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন