মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

গৌতম রায়-এর কবিতা

প্রতিদিন বসন্ত উৎসব 

কত অপচয় 
তবু একাই কত রঙে রাঙিয়ে দাও তুমি পৃথিবীঈশ্বর, 
প্রতিদিন পৃথিবী আগুন খায় আগুন বিয়োয় প্রতিদিন পলাশ প্রতিদিন দোল 
প্রতিদিনই বসন্তউৎসব।

রোদের ইন্ধনে জেগে ওঠে বাতাবি সবুজ 
সবুজ খেতে খেতে একদিন আসে 
রত্নাকর অবসানের মাহেন্দ্রক্ষণ। 
 জঠরের ভেতর তপশ্চর্যা 
বৃত্ত কেটে বেরিয়ে আসে ডানার প্রজাপতি বাল্মীকিকাল।

এ পৃথিবী বাল্মীকির তপোভূমি 
এখানে চির বসন্ত বিরাজমান,
ইন্ধন পোড়ে, 
পোড়া ইটের মতো বসন্ত হাসে 
পাতা ওল্টালে খুঁজে পাই পাঁজরের ভেতর ফসিল। 

সূর্য ডোবে সূর্য উঠে, এক বসন্ত অস্তাচলে 
অন্য এক বসন্তের আনকোরা উদয়, 
 ঋষিখোলা চূর্ণিত শিলা সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ধাবমান  
আমি সাঁকোর উপর  
দুপাড়ে ঋষিখোলা বসন্ত, 
এপাড়ে সিকিম ওপাড়ে পশ্চিমবঙ্গ  
শুধু দুটি ভিন্ন নাম, 
নামে কি এসে যায়?

 

রবীন্দ্রনাথ 

এক একটি আইকন কুড়িয়ে তৈরি করি পান্ডুলিপি,
রিফ্রেশের পর বিনির্মাণ, পরিধি হয় বর্ধিত।
নোবেল পদক চুরি হয়ে গেছে 
আজও উদ্ধার হয়নি, 
তোমার অন্তর মহলের নোবেল চুরি করবে কে?
ভাঙিয়ে ভাঙিয়ে খাই
গর্বিত চলন নয় জানি তবু
আজও স্পর্ধায় বলিঃ আমি রবীন্দ্রনাথের দেশের লোক।

সোলোনিয়াম কোষগুলি সঞ্চিত করে তোমার রোদ,
রোদান্তরে রাতকে কাটি দিনের ফসফরাসের মাঞ্জায়, সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে মিনারদর্শনে উঠি,
আমাদের আলো ময়ূরপাহাড়েও জ্বলে। 
তোমার মানবতার দেবপ্রয়াগে অবগাহন, 
অনুতাপ 
তুলে আনি রাবণ বধের বীতশোক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন