তুমি এখন একটা অব্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছ
তুমি এখন একটা অব্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছ।
যখন থেকে তুমি তোমার ব্যক্তিগত নেপথ্যে
চোখের আড়াল হয়েছে, তখন থেকেই।
নিত্য ঘুম থেকে জেগে, হাত-মুখ ধুয়ে
যেই আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াই---
দেখতে পাই, আমার প্রতিচ্ছবির জায়গাটা
তুমি দখল করে, দিব্যি এক অতীন্দ্রিয় হাসি
হেসেই চলেছ কৌতুকী চোখের ঝিলিকে;
আয়নার ওপার থেকে; একে কি ক্লেয়ারভয়েন্স বলে?
যেহেতু দেখা হয়না দীর্ঘদিন, ফোনে কথাও হয়না
তাই তোমার অন্তহীন আলাপচারিতারও বিরাম নেই;
আর আমি তোমার আজগুবি প্রশ্নমালার উৎসমুখ
খুঁজতে গিয়ে গলদঘর্ম, জেরবার। তবুও ভালো লাগে
তোমার এই নিত্য সন্দর্শন; সমীপবর্তী হওয়া;
আমার নতুন কবিতাগুলি শুনতে চাওয়া। কিন্তু আমি
তোমাকে তো জানি; মুখে না বললেও আমি জানি
তোমার কাব্যচারিতার কামুফ্লেজ; তোমার যাবতীয় আগ্রহ;
আমার নতুন কবিতায় তুমি কতটা আছো জুড়ে।
আর আমি দূরাগত হয়েও কতটা আছি কাছাকাছি!
আমি ভাবি অন্য কথা- এমন আশ্চর্য সাক্ষাৎ
বাস্তবে কি সত্যি ঘটে কোনোদিন, নাকি এ আমার
অবচেতনে, মনের অন্তঃপুরে, আমার আকাশকুসুম কল্পনা?
যদিও তার কোনো সদুত্তর পাইনি আমি আজো।
আসলে, তুমি থেকে যাও তোমাতেই, অপ্রকাশিত;
এদিকে আমার সামনে এসে যখন জড়ো হও
আমার মনের যাবতীয় সুকুমার মুকুরগুলি উসকে দিয়ে,
তখন আমিও থাকি যুক্তিতক্কোহীন; কিংকর্তব্যবিমূঢ়,
সামিল হয়ে পড়ি আমার অতৃপ্ত হৃদয়বাসনার সুখগাহনে,
বাস্তব-পরাবাস্তব সব যেন তখন তালগোল পাকিয়ে যায় ----
মনের কথা মনেই রয়ে যায় প্রতিবারের মতই।
মনের কথা মনেই রয়ে যায়, দেখা নেই,কথা নেই ফোনে; তবু কবির ভাবনায় দোল খায় তাঁর নতুন কবিতায় কতখানি তুমি। তালগোল পাকিয়ে যায় বাস্তব পরাবাস্তব। দুরাগত হয়েও কতটা কাছাকাছি তার নেই কোন সদুত্তর। এ কবিতা আত্মজৈবনিক আবার সার্বজনীন। বেশ ভালো লাগার রেশ থেকে যায়। কবিকে অভিনন্দন। — যযাতি দেবল, পানাগড় গ্রাম।
উত্তরমুছুন