সম্পাদকের নিবেদন
পৃথিবীর সব ভাষায় যে সাহিত্য রচিত হয়েছে বা হচ্ছে, তা প্রায় সবই সুখপাঠ্য। যেমন ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান, স্প্যানিশ, জাপানি, উর্দু, ফারসি, হিন্দি, বাংলা, ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষায় কালজয়ী সাহিত্য রচিত হয়েছে। পাঠক আত্মস্থ করছেন এক ভাষার সাহিত্য অন্য ভাষার সমাজ-জীবন-সাংস্কৃতিক চেতনাকে। লেখকদের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানসিকতা অনেকটাই সহজাতভাবে গড়ে উঠেছে। এ ধারা আগেও ছিল, বর্তমানেও প্রবাহিত। সাহিত্য বিস্তারে ইংরেজি ভাষার অবদান অবশ্য স্বীকার্য। প্রায় সব ভাষার সাহিত্যই ইংরেজিতে অনুদিত হয়। সাহিত্যের কোনো বাউন্ডারি নেই। কিছু রচনা হৃদয়কে স্পর্শ করে, মানুষের চিন্তা-চেতনা উদ্বুদ্ধ হয়।
যেমন এই মুহূর্তে মনে পড়ছে সিগমন্ড ফ্রয়েড-এর মনস্তত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ ‘দি ইন্টারপ্রিটেশন অফ ড্রিম’। ১৯০০ সালে প্রকাশ পায় এই গ্রন্থটি। মানুষের কামনা-বাসনা-স্বপ্ন নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আছে এই গ্রন্থটিতে। অবচেতন মনের এই গবেষণা তাঁকে পৃথিবীজুড়ে খ্যাতি এনে দেয়। অস্তিত্ববাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এই বইটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বেশ সাড়া ফেলে দেয়। ১৮৫৬ সালে তাঁর জন্ম। বিশ্বজুড়ে এখনো বুদ্ধিজীবীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সিগমন্ড ফ্রয়েডের নাম অনায়াসে চলে আসে।
কবিতা-গল্প-উপন্যাস পাঠে জীবনের গভীরতর অর্থ বুঝতে আগ্রহী হয়ে উঠি আমরা তথা পাঠককুল।
‘রঙিন ক্যানভাস’-এর সকল লেখক এবং পাঠককে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো। সকলে ভালো থাকুন।
রোশনি ইসলাম
সোনালি বেগম
ফ্রয়েডীয় তত্ব আজকের পৃথিবীর মনন বোঝার জন্য এখনো অপরিহার্য। চমৎকার সম্পাদকীয়। ধন্যবাদ রঙিন ক্যানভাস সম্পাদক।
উত্তরমুছুন