রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

মামুন মুস্তাফা-র অনুবাদ কবিতা

শেখা হালেওয়া

স্মৃতি 

দখলিকৃত বেদুঈন স্মৃতিতে আমার সব এলোমেলো।

যুবকটি বেশ ক’জন বালিকার বাগদত্তা হবার দাবি রেখেছিল
যে কিনা নিজ খেতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুততাড়িত হয়।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবার পর সে যেন ফানুস হয়ে পড়েছিল।

সব সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও স্মৃতি আমার সঙ্গে প্রতারণা করে।
সে কি বাগদত্তা ছিল, নাকি বিলম্বিত আলো অথবা সবুজ মাঠ?
আমার স্মৃতিতে প্রতিটি বিষয় বিশদভাবে জাগিয়ে
তোলার অভ্যাস ছিল আমার মায়ের।
অবশেষে যুবক হয়ে গেল মাঠ, সবুজ হলো লণ্ঠন
আর আমার গ্রামে কখনোই আলো পৌঁছল না।


পরীক্ষা

আমার মায়ের জ্ঞানার্জন অনেক দেরি হয়ে গেছে
নাকবার সঙ্গে ঐক্যমতের ফলে,
আমরা কত বছর ধরে একত্রে বসবাস করছি- তিনি তা গুনছেন
এবং আমি আমার জিভ কামড়ানোর সময় একবার গণনা করি,
অকস্মাৎ কথায় কথায় তিনি আমাকে
বক্তব্য দিতে জোর করেন।

আমাদের মধ্যে বছরের পর বছর কোনো তফাৎ না থাকায়
তিনি আমার অনেক দিনের ক্ষোভকেও বিবেচনাই করেন না,
নাগরিকতা আমার ভবঘুরে জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে
এবং আমার ভাষাকে করে মার্জিত।

একজন নির্দয় শিক্ষকের মতো
তিনি তার পাঠ-অনুশীলন চালিয়ে যান
যার অবসরে যাওয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
তিনি তার বাহুর নিচে লাঠি খোঁজেন
অথচ পাচ্ছেন না,
তাই তিনি কাঠের ডেস্কে আঘাত করেন:
“জাহান্নামে কোনো পুরুষের সঙ্গে, যে
তোমাকে কাঁদায়, তুমি কি বুঝতে পারো?”
অথচ পরীক্ষার আগে আমাকে উদ্ধারের জন্য
কোনো ঘণ্টা বাজেনি।


[
শেখা হালেওয়া একজন বেদুইন লেখক, কবি এবং শিক্ষাবিদ।  তিনি বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরব নারীবাদের একজন প্রভাষক। তিনি ১৯৬৮ সালে হাইফার কাছে একটি অচেনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং হাইফার নাজারেথ নানস হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি জাফাতে চলে যান এবং তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি হিব্রু সাহিত্যে বিএ এবং এমএ করার জন্য অধ্যয়ন করেন। তিনি শিক্ষাদান নির্দেশনাসহ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শিক্ষণ কর্মসূচির উন্নয়ন এবং পূর্ব জেরুজালেমের স্কুলগুলিতে শিক্ষাদান এবং পরিবর্তন প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার কবিতা এবং গল্প ইসরায়েল এবং আরব বিশ্বের ম্যাগাজিন এবং সাহিত্য ওয়েবসাইটগুলিতে প্রকাশিত হয়ে থাকে। তাঁর একটি কবিতার বই এবং ছোটগল্পের তিনটি সংকলন রয়েছে। শেখা হালেওয়ার কবিতা গল্প বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।]

 

1 টি মন্তব্য: