রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

রন্তিদেব সরকার-এর ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী "প্রথম পাড়ি গরুর গাড়ি"

প্রথম পাড়ি গরুর গাড়ি

আহ্! কি প্রশান্তি। এক লহমায় যেন দূর হলো পথের শ্রান্তি। জলকেলিতে নতুন বৌয়ের হাত-পা ছোঁড়া দেখে অনুমান করা গেল- আর যাই হোক, জল-আনাড়ি নয়। পরে জানা গেল ঘরের সামনেই পুকুর থাকায় সেখানে ছোট থেকেই স্নানের অভ্যেস ছিল, সাঁতারও। হর্ষ খানিক ঐচ্ছিক দূরত্ব নিয়ে মা কে স্নানে সাহায্য করছে। দূর থেকেই সে বৌদির উদ্দেশ্যে হাঁক পাড়ল-

    -  ‘বৌদি, কেমন লাগছে নদীতে স্নান ?’ – হর্ষের সহর্ষ স্যাটায়ার। কথার সুরেই তা মালুম পড়ছে।

    -  ‘দারুণ। পুকুর আর নদীর তফাতটা বেশ বুঝতে পারছি। একদম অন্যরকম অভিজ্ঞতা’- উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে।                                                

    -   ‘আরেকটা জিনিষ ভাই। নদীটা প্রাইভেট বিচ মনে হচ্ছে।’- নববধূর গলায় ঝর্ণা। 

    -   ‘আরে বাঃ, এটা দারুণ বললে তো ! এভাবে ভাবিনি। সত্যিই তাই। জনপ্রাণীর চিহ্ন নেই আশেপাশে। 

এই অবসরে মায়ের স্নানও সারা হয়ে গেছে। জল থেকে পাড়ে এসেই মতিদাকে আমগাছের তলা খড়ের আঁটি দিয়ে পরিষ্কার করে ঝাঁট দিয়ে গাড়ি থেকে বের করে সতরঞ্চি পাতার নির্দেশ দিল। ননদ-ভাজ দুজনে মিলে একটি শাড়ি টাঙ্গিয়ে অস্থায়ী গ্রীনরুম বনিয়ে পোষাক বদলে গাড়ির চালে ভেজা কাপড় মেলে দিল। গাড়ি পার্কিং অবস্থায় সামনে নিচু আর পিছনটা উঁচু করা থাকে। সেই উঁচু পিছনের বংশাগ্রে একটা আয়না ঝুলিয়ে দিয়ে প্রসাধন কার্য শুরু করে দিল। নতুন বৌ সামনে দাঁড়িয়ে আর পিছনে ননদ দক্ষহাতে বেণী পাকাচ্ছে। চমৎকার দৃশ্য। আয়না তো একে হ্যান্ড মিরর তার উপর একটু উচ্চতায় টাঙ্গানো আর দুজনেই যে ধীর্ঘাঙ্গী তা বলা যায় না- সব মিলিয়ে মুখমন্ডলটিকে ঠিক জায়গামতো আনা যে খুব একটা সহজ কাজ তা বলা যাচ্ছেনা। ফলে দুজনেই পালাক্রমে বিভিন্ন এঙ্গেলে দাঁড়িয়ে, কাত হয়ে, টো-এর উপর দাঁড়িয়ে নানা কসরত করতে হচ্ছে। সামান্য দূরে আমি আর হর্ষ পোষাক বদল নিয়ে ব্যস্ত। হঠাত করে দুই রমনীর কথোপকথন আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। দেখা গেল চলাচলের রাস্তার ঠিক পাশেই দুই স্থানীয় খেটে-খাওয়া  মহিলা, কোমরে ঝোরা, মাথায় গামছা টাঙ্গানো,  দাঁড়িয়ে কথা বলছে নিজেদের মধ্যে। একজন দাঁড়িয়ে আমাদের অবাক বিস্ময়ে পর্যবেক্ষণ করছি। সেই মুহূর্তে দ্বিতীয় চরিত্রের প্রবেশ। তাদের চর্চার বিষয়আমরা।

১ম জন - ‘কি লো, উখানে দাঁড়ায় দাঁড়ায়, অমন করে কি ভালছিস (দেখছিস) ?

২য় জং-  ‘হঁ লো, আজ গাঁয়ে গায়েন (যাত্রাপালা) হবেক জাঁল্লে (জানতে পারলে) আজকে কাজে যেথম না গো।

ব্যাপারটা এমন দাঁড়াল যে এই খেটে-খাওয়া শ্রেণী মহিলাদের কাছে যাত্রাপালার এক বিশেষ আকর্ষণ। যাত্রাপালাকে চলতি ভাষায়গায়েনঅর্থাৎগাননামেই চল। এখন গরুর গাড়ি দাঁড়ানো, মহিলা তিনজনের উপস্থিতি, প্রসাধনএইসব দেখে ওর নিশ্চিত ধারণা এরা যাত্রাদলের অংশ। এইকথা সবাইকে ডেকে বলতেই, সবার সে কি হাসি। বিশেষ করে নববধূর হাসি আর থামতে চায় না। কিন্তু এই যে সব অভাবী, নিতান্তই সহজ-সরল জীবন, যাদের তেমন কোনোরিলিফনেই, মনোরঞ্জনের কোনো সাধন নেই, এদের জন্য ভাবলে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। কিই বা আছে এদের, কতটুকুই বা চাওয়া ?     

 

অতঃপর অমোঘ মধ্যাহ্নভোজ। দিশী লাঞ্চ। তবে এমন লাঞ্চ কে কবে এমনভাবে খেয়েছে, গবেষণা করে দেখতে  হবে। প্রথমতঃ ভেন্যু; নদীর পাড়ে, আমগাছের ছায়ায় মাটীতে সতরঞ্চির আসন পেতে। এবং মেনু; নির্ভেজাল দিশি মেনু। প্রধান কোর্স অবশ্যই বীরভূমের পেটেন্ট- মুড়ি আর আলুর চপ। তরপরই সটান ডেসার্টে চলে গিয়ে এসর্টেড সুইট সাপ্লিমেন্ট ডেলিকেসিজমুড়কি, খই-মোয়া, বোন্দে, নারকেল নাড়ু- এসব হোমমেড করোনা-ফ্রী আইটেম  দিয়ে এক মেমোরেবল ফুড ফিয়েস্তা। সে সময় ক্যামেরা-মোবাইল ক্যামেরার যুগ থাকলে বেশ কয়েকটি শট যে চিরজীবি হয়ে থেকে যেত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে শহুরে সৌখীন মুড়ি-খাওয়া আর গ্রামের লোকেদের মুড়ি-খাওয়াপুরো এক ভিন্ন চর্যাপদ। শহরে মুড়ি, এখনো স্ন্যাক্স-এর দড়ি ডিঙোতে পারেনি  অথচ চাষীটির কিশোরী কন্যাটি, টার টেন পেরিলেই কাঁসার এক জামবাটী (বড় আকারের পাত্র) মুড়ি আর তার সঙ্গে জুতসই বতর (অনুপান) ভরাট করে গামছা ঢাকা দিয়ে মাথায় করে ক্ষুধার্ত চাষরত বাপের জন্য বয়ে নিয়ে যায়। আর তা খেয়ে বিকেল ৪টে অব্দি দিব্যি চলে যায়। গ্রামীন মেনুতে মুড়ির বিকল্প কিছু এখনো গড়ে ওঠেনি। রুটি-তরকারি এখনো সে রকমভাবে সর্বজনীন হয়ে উঠতে পারেনি। মানে অনেকটা মহেন্দ্রকাপুরের ভূমিকায়। যত ভালোই উনি গান করুন না, মঃ রফি সাহেবের বিকল্প হতে পারলেন না। আমার নিজের অবশ্যি মুড়িতে কোনোদিন অরুচি নেই। তায় আবার এমন অনুপম স্বর্গীয় পরিবেশে। কিন্তু নববধূর যে কি হাল, তা আমি বেশ অনুমান করতে পারছি। একে তো নতুন বৌ; যা কিছুই ঘটছে তাতে তার অপছন্দ ব্যক্ত করার মতো জায়গা নেই, তাছাড়া যেখানে সবাই একটি সূত্রে গ্রথিত হচ্ছে মায় শ্বশ্রূমাতা পর্যন্ত শরিক, সেখানে অসুবিধে হলেও কিছু প্রকাশ করাটা সমীচিন হবে না- এমন সব ভেবেই, সবেতেই সম্মতি- এক ভালো পন্থা বৈকি। সাধুবাদার্হ সনাতনী। তবে বাড়িতে বসে মুড়িভক্ষণ আর বাড়ি থেকে দূরে, নদীর তীরে মুড়ি খেতে এলে দুটি জিনিষের প্রয়োজন অনিবার্য। এক জনপ্রতি একটি করে ছোট সাইজের নতুন গামছা। দুই- নদীর কাছাকাছি বালু খনন (আন্দাজ এক হাত ব্যাস) করে নদীর জলের প্রস্রবন তৈরি, তাতে বালুর নিচেকার পরিশ্রুত জল উঠে এসে জমা হবে। প্রথমে মুড়ি নতুন গামছাতে মুড়ে সেই সদ্য খোঁড়া পরিশ্রুত জলে মুড়ি সুদ্ধ গামছা ভিজিয়ে, জল ঝরিয়ে শালপাতায় উপর রেখে জল ঝরিয়ে আলুর চপ মেখে নিয়ে গামছাটি কোলের কাছে ঝুলিয়ে লংকা সহযোগে ভক্ষণ। তার সঙ্গে চলতে থাকবে রকমারি নাড়ুর অপশনাল সঙ্গত। এর এক আলাদা স্বাদ। যারা এর স্বাদ থেকে বঞ্চিত, তাদের সেই স্বর্গীয় স্বাদের রসস্বাদন করানো প্রায় অসম্ভব।


আমাদের এই অবিস্মরণীয় সফরের প্রায় শেষ চরণে পৌঁছে গেছি। মতিদার হিসেব মতো বাকি রইল গড়শিমুলে গ্রাম। তা পার হলেই আমাদের কাংক্ষিত গন্তব্য- পালাজুরি, আমার মামাবাড়িতে পৌঁছে যাব। একদিকে মামাবাড়ি পৌঁছানোর আনন্দে যেমন অধীর হয়ে রয়েছি, তেমনি আবার একটু মন খারাপের ছোঁয়া ঘিরে রইছেএত সুদীর্ঘ এক মনোরম সফর-এর পরিসমাপ্তি ঘটবে।

           সবাই জমিয়ে শাল নদীর শীতল জলে স্নান এবং তারপর ঐরকম পরিবেশে এক অনন্যসাধারণ মধ্যাহ্নভোজের আমেজ আমাদের সবাইকে যেন আষ্টেপিষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে। এবার শুরু হলো আমাদের সফরের অন্তিম পর্ব। মতিদা অঢেল পরিমাণে মুড়ি আর তৎসহ পরিমাণমতবতরসাবাড় করে বেশ একটা পরিতৃপ্তির আমেজ নিয়ে গাড়ির ছই- পা দুলিয়ে বিড়িতে সুখটান দিতে দিতে বেশ খোশমেজাজে চলল। এই সফরে একটা জিনিষ বারবার খুব মনে হয়েছে যে আমরা শহরবাসীরা, ধীরে অথচ নিশ্চিতভাবেই প্রকৃতির সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি। এই স্নিগ্ধতা, প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে একাত্ম হয়ে যাবার এই পরিবেশ কোথায় বা আর পাবো আর তাকে অনুভব করার মতো দু-দন্ড নিশ্চিত সময়ই বা আমাদের হাতে কোথায় ?

          যথারীতি খুব ধীর লয়ে আমরা স্নিগ্ধ শাল নদী পেরিয়ে এলাম; আমরা তিনজন পায়ে হেঁটে, আর ওরা তিনজন গাড়িতে চেপে। ঘড়িতে এখন আড়াইটে। মানে দশ ঘন্টা আমরা রাস্তায় ! ভাবতেই অবাক লাগছে। নদীর উত্তর পাড়ের দিকে একটা উঁচু মাটির বাঁধ থাকায় ওপারে কিছু দেখা যাচ্ছে না। বর্ষার অতিরিক্ত বর্ষনে যখন বানের জল দুকুল ছাপিয়ে যেতে চায়, তখন এই মাটির বাঁধ গ্রামের দিকে বেনোজলকে আটকায়।  সেই বাঁধ পেরোতেই নিচুতে কিছুটা দূরে গাছের ছায়ায় দেখা গেল একটি ঘেরা-লাগানো গরুর গাড়ির জোয়াঁল নামানো রয়েছে। কিন্তু আশেপাশে কাউকেই নজরে পড়ছে না। আমাদের গাড়ি আরো নিকটবর্তী হতেই দেখা গেল সেই গাড়ির সম্ভাব্য গাড়োয়ান বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে উঠে দাঁড়াল। তার চোখে সন্ধানী দৃষ্টি। আমাদের গাড়ির দিকেই এগিয়ে এসে শুধালো-

                   ‘হ্যাঁ , এই গাড়ি কুথাকে যাবেক ?’- আকুল আগ্রহে।

                    ‘ক্যানে বল ?’ – মতিদা বেশ গম্ভীর ভাবেই শুধালো।

                   ‘এই গাড়ি কি পালাজুরি যাবেক ? আমি উখান থিকেই আসছি। গুলিন পাঠাল্যেক

                   ‘ তাই বল !’ আমরা পালাজুরিই যেছি, গুলা-গুলিন, নতুন বৌ-গুলিনকে নিয়ে।

                   ‘, আমি তুমাদের গাড়ির বাচ্চেঁয়ে বসে রইছি গ। দুটো গাড়িতে ভাগ ভাগ করে লিয়েঁ যেতে 

               সুবিদে হবেক। এস, এস, আমার গাড়িতে তুমরা জন চলে এসো। দেখো দিকি।‘ – দিদিমনির

প্রেরিত গাড়োয়ানের কন্ঠে অঞ্চলের মানুষজনের সেই পরিচিত উষ্ণতা।

 

          এতক্ষণে ব্যাপারটা পরিষ্কার হলো। ওহ, এর থেকে ভালো কিছু এই মুহূর্তে ভাবা যায় না। দিদিমণির

এই প্ল্যানের তারিফ না করে পারছি না। দিদা বিলক্ষণ জানেন, একটি মাত্র গাড়িতে স্বল্প পরিসরে পাঁচজনের সারাদিন ধরে যাত্রার কতখানি ধকল হতে পারে। দিদার এই মমতা আর বাস্তববোধের কথা ভেবে আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেল। অবিলম্বে আমি মহানন্দে মামাবাড়ির গাড়িতে উঠে পড়লাম। উঠেই সোজা লম্বা হয়ে পড়লাম। আহ, কি আরাম হাত-পা ছড়িয়ে শোবার। পথের ক্লান্তি তো আছেই। হঠাত দেখি পিছু পিছু নববধূ গুটি গুটি পায়ে এই গাড়িতে উঠবার জন্য চলে এসেছে। আমি নিশ্চিত, হর্ষ আর স্তুতি মিলে এই প্ল্যান টা করে পাঠিয়েছে। ওরা তিনজন গাড়িতে। কি অপ্রত্যাশিত কাহিনীর মোড় ঘুরে গেল। কি দরদী মন এসব পুরোনো মানুষদের। হয়ত তেমন কিছু বৈপ্লবাত্মক ঘটনা নয়, তবে এই যে মরমী চিন্তা, দরদী ভাবনা, এর মূল্য অপরিসীম। এদব কারণেই তো মাথাটা নুয়ে আসে শ্রদ্ধায়। তাঁর কাছে পৌঁছাবার আগেই, দিদা তাঁর স্নেহ দিয়ে পৌঁছে গেলেন আমাদের কাছে, কয়েক ক্রোশ দূরে থেকেই। অসাধারণ।

 

          দেখতে দেখতে কিছু মাঠ-ঘাট পুকুর পেরিয়ে পরের গ্রাম গড়শিমুলে গ্রাম পার হয়ে এক ঘুমনিবিড় মাঠে এসে পড়লাম। দূরে দেখা যাচ্ছে পালাজুরির সীমান্তবর্তী সবুজ গাছের সারি। গাড়ির গত দ্রুত হলো। আমাদের নাড়িও। কথায় আছে, ‘ঘরমুখো গরুঅর্থাৎ রিটার্ন জার্নিতে ঘরে ফেরার সময়, গরুদের আর হেলেবাড়ি বা হেট পা পা, কোনোকিছুই করতে হয়না। গাড়োয়ান তখন হয়ে যায় নিমিত্তমাত্র। ওরা নিজেরাই পথ চিনে চলে আসার অদ্ভুত ক্ষমতা আছে গরুদের।

 

          কতদিন পর আজ মামাবাড়ি আবার আসছি। তা ১০-১২ বছর তো হবেই। একটা যুগই বলা যায়। গাড়োয়ান ভাইয়ের নাম বিশু। তা বিশুকে জিজ্ঞেস করে পুজোতে কারা কারা এসেছিল আর এখনো কারা কারা রয়েছেন ঘরে, সব খবর পেয়ে গেলাম। মনটা এক অজানা আনন্দে ভরে উঠল। নতুন বৌ যদিও স্টার আকর্ষণ। তাকে বললাম এবার প্রস্তুত থাকার জন্য। এবার আমাদের নামতে হবে। বলতে বলতেই বামুনপাড়া হয়ে, কলুপাড়া হয়ে কায়স্থপাড়ায় আমাদের গাড়ি ঢুকে পড়ল। সোজা গাঁয়ের কুলি হয়ে গ্রামের মধ্যিখানে চন্ডীমন্ডপের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড়াল। সামনে এক বিশাল অপেক্ষমান রিসেপশন। দিদা একেবারে সামনের সারিতে, মুখে ভুবনমনমোহিনী হাসির দ্যুতি ছড়িয়ে। তাঁর পাশেই বড় মামীমা। গাড়োয়ান নেমেই গাড়ির জোয়াঁল খুলতে খুলতেই মতিদা পিছন পিছন এসে গাড়ি দাঁড় করাল। রিসেপশন দু-ভাগে ভাগ হয়ে গেল। আমাদের এত বছর পর দেখার আতিশয্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। আবেগ, আনন্দাশ্রু, আলিঙ্গন, প্রণামে চন্ডীমন্ডপ মুহূর্তে পরিণত হলো এক মহামিলনমেলায় ঘড়িতে তখন ঠিক বেলা চারটে।




সমাপ্ত



                                                                                                                 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন