রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

তৈমুর খান-এর কবিতা

আত্মজিজ্ঞাসা

আত্মজিজ্ঞাসার কাছে নেমে এসে বসি
 কে আছে আমার আর?
 এই আমি আমাকেই ছুঁই
 আমিই আমার বিশ্বাস

 ঝিলমিল রোদে আনচান মন
 নিজের কাছেই নিজের প্রশ্রয় অথবা শাসন
 দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে আজ আর লীলা নেই
 সব লীলা চলে গেছে সেই অতীত কমলের বনে

 চৈতন্যে উঠেছে হাওয়া
 হাওয়ায় উড়ছে ঐশ্বরিক গান
 আমি গান গাইতে পারি না
 কেঁপে উঠে আমার ভীরু কণ্ঠস্বর

 কোন্ উৎস থেকে তবে জেগে উঠি রোজ?
 আমিও কি নদীর মতো ঢেউয়ের সংঘাত পাই?
 ভাঙতে থাকি—ভেঙে ভেঙে বিচূর্ণ শাবক
 কেন মানুষ নই? আত্মজিজ্ঞাসা নিরুত্তর

 চারিপাশে ঘাতকের ছায়া
ভেসে ওঠে সফেদ কাফন
 স্তব্ধতারা অস্তিত্ব মোচড়ায়
 জীবনের স্বরলিপি ঝরে ঝরে পড়ে... 

 


দোকানি

কিছু কান্না আর দীর্ঘশ্বাস 
 শব্দের বয়ামে রেখে দিই
 আর দোকান চালাই আমি
 আমার আয়ুর পথের ধারে
 এই
      আমার
                সামান্য
                           বিপণি

 রাগ-বৈরাগ্য আর উদাসীনরা
 সবাই দোকানে আসে
 দুঃখ কেনে,আনন্দ কেনে
 বারবার আনন্দ ফুরিয়ে যায়

 রাতে কোনও কোনও বিহঙ্গ আসে
 বিহঙ্গরা ভীষণ অন্ধকার
 কেউ কেউ চাঁদ দ্যাখে
 কেউ কেউ অলীক জ্যোৎস্নায় লুটোপুটি খায়

 বিষণ্ন থালায় হাহাকার অন্ন বেড়ে দেয়
 স্বপ্নের তরিতরকারি, আকাঙ্ক্ষার পানীয়
 হয়তো পেট ভরে, হয়তো ভরে না
 কিছু উদ্যম জন্মায়, কিছু নিরুৎসুক কামনা

 একটা ঘরেরও দুয়ার নেই
 জানালাগুলিও ভাঙা
 যে যার মতন যাওয়া-আসা করে
 চেতনারা উলঙ্গ সব, চরিত্রহীনা

 দোকান চালাই আমি
 সারা দিনমান আমার ব্যস্ততা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন