সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মারুফ আহমেদ নয়ন-এর কবিতা

তোমাকে পেয়ে গেলে

ঈশ্বর প্রদত্ত বরে, যদি পেয়ে যাই তোমাকে। কেমন হতো সবকিছু!  তুমি বহুমূল্যের শাড়ী, গহনা ও গোলাপের মুকুট পড়ে, হেঁটে যেতে সম্রাজ্ঞী, বিবাহ প্রাঙ্গণে। তোমাকে ঘিরে হাসি-উচ্ছ্বাস। উঠোনে পায়রার বাক-বাকুম। প্রাচীন চাঁদের পৃষ্ঠা হতে পাঠ করা হচ্ছে, শুভময় বাক্য, কবুল। তুমি উচ্চারণ করছো। যেন একটা দোলনচাঁপার বন মৌনতায় নত করেছে মাথা।

আর থিবস নগরের সেই দ্বাররক্ষী স্ফিংক্স খেয়ে ফেলেছে নিজেকে। হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সমস্ত জটিল ধাঁধার গোলক। ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে সব। তুমি কি এমন ধাঁধা, সমাধান জানি না। শুধু ভ্রম প্রিয় সেই খরগোশ ছানার মতো আলোর বল দেখলে ছুটে যাই। ঘাস, লতা-পাতা আহার করি। প্রার্থনা করি, বাঁচিয়ে রাখুন, অজগরের চেরা জিহ্বা থেকে।

মূলত তা হলো মৃত্যুগুঞ্জন। মহাপ্লাবনের দিন শেষে, শরীর থেকে খসে পড়বে মাংস। পোকামাকড় স্পর্শ করবে না। আমি তোমার ভয়ে একটা ত্রিভুজাকৃতির পাথরের ভেতর লুকিয়ে পড়বো। আমাকে হত্যা করো না। জেনো, আমার ঈশ্বর তোমাকে ক্ষমা করবেন না। 

 

1 টি মন্তব্য: