সম্পাদকের নিবেদন
পোস্টমডার্ন ভাবকল্প ও বাংলা কবিতা নিয়ে কিছু কথা বলছি। আমরা জানি যে, ‘পোস্টমডার্ন’ শব্দটির উদ্ভব ১৯৩৪ সালে হিসপানিক আমেরিকায়। স্প্যানিশভাষী তরুণ কবিদের কবিতার বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কবি-তাত্ত্বিক ফেদেরিকো দ্য ওনিস ‘পোস্টমডার্নিজম’ বিশেষণ ব্যবহার করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জাক দেরিদা, মিশেল ফুকো, জাক লাঁকা, জাঁ বদ্রিলার ও আরও অনেক ভাবুক দর্শন, ইতিহাস,
রাজনীতি, বিজ্ঞান-দর্শন, নৃত্য, সঙ্গীত, চিত্রকলা, স্থাপত্য, সাহিত্যতত্ত্ব ইত্যাদি নানা বিষয়ে এই ভাবকল্পটিকে নিয়ে কাজ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে পোস্টমডার্ন অভিধাকে ‘অধুনান্তিক’ বাংলা প্রতিশব্দে গ্রহণ করেছেন ভাষাবিদ প্রবাল দাশগুপ্ত। বাংলায় পোস্টমডার্ন কবিতা রচনার সচেতন প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় বিশ শতকের নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকেই। এবং এই সময় পোস্টমডার্ন চিন্তাচেতনা প্রথম স্পষ্ট করে তোলেন সমীর রায়চৌধুরী।
আমাদের দেশে অধুনান্তিক ভাবনার ইতিহাস ইউরোপের ভাবনা থেকে অনেক আলাদা। ইউরোপ-আমেরিকায় অধুনান্তিক চিন্তাচেতনার উদ্ভব ঘটেছে আধুনিকতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। এদেশের অধুনান্তিকতা উপনিবেশের শাসকদের দ্বারা লালিত সাহিত্য, সঙ্গীত, সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যেতে চেয়েছে। সে উপনিবেশ-পূর্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আত্তীকৃত করে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে চেয়েছে।
কবি ও প্রাবন্ধিক সমীর রায়চৌধুরী এবং রুদ্র কিংশুক পোস্টমডার্ন বাংলা কবিতা ও তার গতিপ্রকৃতির চেহারা ও লক্ষণগুলি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। সে বিশাল কর্মকান্ড। এখানে সংক্ষিপ্ত কয়েকটি কথা বলছি। পোস্টমডার্ন চিন্তাচেতনার কবিতা এক ধরনের নয়। বহুত্ব বা প্লুরালিজম্ তার বহুমুখীনতায়। অধুনান্তিক কবিতায় যুক্তিকাঠামো ভেঙে ফেলার আয়োজন ––– এই ‘যুক্তি ফাটল’ (logical cleft বা logical crack)-এর পথ ধরে চিন্তাচেতনার বিস্তৃত পরিসর গড়ে উঠেছে। পরিবর্তনের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলা কবিতা ––– এর গড়ন একরৈখিক নয়, বহুরৈখিক।
অধুনান্তিক কবিতা সময়ের দাবি মেনে, জন্ম হওয়া কাব্য প্রয়াস।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনকে স্মরণ করে ‘রঙিন ক্যানভাস’-এর এই সংখ্যা। তিনি যে রয়েছেন আমাদের সবার হৃদয়ে। তাঁকে শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই।
সকলকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় –––
রোশনি ইসলাম
সোনালি বেগম
পঁচিশে বৈশাখ সংখ্যার সম্পাদকীয়টি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও চেতনাঋদ্ধ।
উত্তরমুছুনসংক্ষিপ্ত সংহত কথার মাধ্যমে 'পোস্টমডার্ননিজম' বিষয়ে বেশ মূল্যবান
কথা বলেছেন । পত্রিকাটি তার উত্তরণের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে
শ্রীদাম কুমার।২ জুন , ২০২৩ এ ৯:৫১ PM
উত্তরমুছুনপঁচিশে বৈশাখ সংখ্যার সম্পাদকীয়টি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও চেতনাঋদ্ধ।
সক্ষিপ্ত সংহত কথার মাধ্যমে 'পোস্টমডার্ননিজম' বিষয়ে বেশ মূল্যবান
কথা বলেছেন । পত্রিকাটি তার উত্তরণের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে
(--শ্রীদাম কুমার sridamkumarchitra039@gmail.com )
রঙিন ক্যানভাসের প্রত্যেক সম্পাদকীয় পাঠককে ঋদ্ধ করে। এই সংখ্যাতেও তার ব্যত্যয় হয়নি। অফুরান শুভকামনা।
উত্তরমুছুনএমন একটি সম্পাদকীয়-র জন্য অশেষ অভিনন্দন।
উত্তরমুছুন