সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

সৌমিত্র চক্রবর্তী-র কবিতা

নিজকিয়া সিরিজের কবিতা

নিজকিয়া ৪

কিম্বা প্রত্যেক হৈ মনের পেছনে সুড়ঙ্গ কাটে প্রান্তিক বালিচরা গ্রাম। ঋদ্ধিমান নগরীয়ার স্বপ্নের খাঁজে বারবার বারবার ঘুরে ফিরে অবয়ব গড়ে তোলে বাবুইয়ের বাসা।

তৃণচর জীবেদের ভোঁতা দাঁতে খেলা করে দূর্বার দুধস্বাদ শীষ। ভ্যাপসা গুরমুখী দুপুরে ব্রিজটঙ উগড়ায় স্মৃতিমেহনীয়া অপ্রেম হলুদ। স্পিঞ্জ চুমুর দীর্ঘ সেসনের মন্দ অবসরে স্তনবৃন্তে বিলি কাটে অবাধ্য উপোসী আঙুল।

রোদেপোড়া হাতের তালুতে, নির্বাচনী শীৎকার আঁকা তর্জনীর নখ এলিয়টি ডিপ্রেশনে আয়না হয়ে যায়। মধ্যযুগের রোম অনুপ্রবেশ করে কলকাতার অন্ধগলি, গ্রামেদের ধান - পাট - মুসুরের ক্ষেতে।



নিজকিয়া ৫

মনে হয়! সব ফেলে চলে আসতে পারো!
এতদিনের টুকটুক কৃপণ সঞ্চয়
জমানো রোদ্দুর সানস্ক্রিন লোশনের রম্ভানী কাব্য!
মনে হয় অনেক কিছুই, রাস্তায় কম্যান্ডো রুটমার্চ
করলেই খেয়ালের সূক্ষ্ম স্বপ্ন একশো চুয়াল্লিশ
এর চক্করে বিভ্রান্ত উঠে যায় কালো ভ্যানে বিনাবাক্যব্যয়ে।
আমি পাঠিয়েছি রঙিন বাক্সে মোড়া স্বাধীন চুমু
আজকের প্রথম ঝড়ের ক্যুরিয়ারে:
টিপটিপ দু এক ফোঁটা বৃষ্টি আনওয়ান্টেড
পরিবর্তণ আনে শরীরের গোপন ভাঁজে,
তখনই টের পাওয়া যায় মতাদর্শগত বিরোধের
চোরাগোপ্তা ফাঁকে জড়িয়েই আছ সেদিনের শেষ দেখার মতই।

 

নিজকিয়া ৬

সাদা পাথরের শ্যাওলাধরা দেহ বেয়ে এগিয়ে আসে গুলবাঘ
পাথরের ফাঁকে ক্ষিদের জ্বালায় উঁকি দেয় কালো খরিশ,
শঙ্খমালিকা রাত্রি এখন ম্রিয়মান ঘুমে উত্তপ্ত ঋতুরেণু
আর অবাধ্য মাইগ্রেণের কবলিত স্বপ্ন চরে 
ছটপট করে সদ্য বলি প্রদত্ত চতুষ্পদ মননে।
রাজকীয় অরাজকতার অসভ্য দেওয়াল ডিঙিয়ে
যে দলমা দামাল হাতির দল এসেছিল শস্যসন্ধানে
ফিরে গেছে হুলিয়া পার্টির নাম কা ওয়াস্তে কমেডি চক্করে;
সূক্ষ্ম ভগ্নাংশের ডেসিবল ফিতে চুমু খেয়ে
গাছেরাও বৈশাখী আড্ডার আসর শুরু করে দিল জম্পেশ।
দুচোখের পাতায় লেপটে আছে গতজন্মের
অবৈধ ফকির বিদ্রোহের নাবালক সন্তান হসন্তবৎ।

1 টি মন্তব্য: