মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

অনুবাদ কবিতা : তরুণ মুখোপাধ্যায়


 টমাস স্টার্নস এলিয়ট


এলিয়টের কথা

কী অস্বস্তিকর মি. এলিয়টের সঙ্গে দেখা হওয়া!

তাঁর অবয়ব কেরানি-সুলভ ছাঁদে

কী কঠোর তাঁর ভ্রূভঙ্গি

আর তাঁর মুখখানি ছিমছাম

এবং তাঁর কথাগুলি বড়ো সুন্দর

পরিমিত, সুছাঁদ

বাক্যের মাঝে শুনিযদিকিন্তু’ ‘হয়তো বা

 

কী অস্বস্তিকর মি. এলিয়টের সঙ্গে দেখা হওয়া

সাথে তার রাগী বব-টেল এক কুকুর

লোমের কোট পরা,

আছে এক বেয়ারা বেড়াল

মাথায় তার বাঁকানো টুপি :

কী অস্বস্তিকর মি. এলিয়টের সঙ্গে দেখা হওয়া!

(অবশ্য  তাঁর মুখ খোলা কিংবা বন্ধ যেমনই থাক।)

 

[মূল কবিতা: Lines for Cuscuscaraway and Mirza Ali Beg by  T.S. Eliot]



​[
টমাস স্টার্নস এলিয়ট (১৮৮৮-১৯৬৫আধুনিক যুগের ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে অগ্রগণ্য নাম। তিনি একাধারে কবিকাব্যনাট্যকার  সাহিত্য সমালোচক। তাঁর জন্ম আমেরিকার  সেন্ট লুই-মৃত্যু ইংলণ্ডের লণ্ডনে। আধুনিকতাবাদী সাহিত্য আন্দোলনের তিনি অগ্রপথিক। তাঁর কবিতার মূল সুর রিয়ালিজম  নাগরিকতা।  ‘দি লাভ সং অব জে আলফ্রেড প্রুফক’ (১৯১৫দিয়ে তাঁর কবিখ্যাতির সূচনা হলেও অদ্যাবধি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি পাঁচ পর্বে বিভক্ত ‘দি ওয়েস্ট ল্যাণ্ড’ (১৯২২কাব্য। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর সমাজ-রাষ্ট্র  মানুষের ভাঙাচোরা জীবনের ছবি পুরাণপ্রচ্ছদেউপনিষদীয় আবহে -কাব্যে প্রকাশিত। কবিবন্ধু এজরা পাউণ্ড কাটছাঁট করার পরেও -কাব্য পাঠের জন্য টীকা জুড়ে দিতে হয়েছিল কবিকে। এর বাইরেও তাঁর ‘দি হলো মেন’, ‘বার্ণট নর্টন’ কাব্য কিংবা কাব্যনাট্য ‘মার্ডার ইন দ্য ক্যাথিড্রাল’ ‘দি এল্ডার স্টেটসম্যান’ তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা। সাহিত্য-সমালোচক হিসেবে তাঁর ‘দি স্যাক্রেড উড অ্যান্ড মেজর আর্লি এসেজ’ (১৯২০অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বইএখানেই তাঁর বিখ্যাত ‘অবিজেকটিভ কোরিলেটিভ’ শব্দবন্ধ তিনি ব্যবহার করেছেনদিয়েছেন কবিতার নতুন সংজ্ঞাও ‘পোয়েট্রি ইজ নট  টার্নিং লুজ অফ ইমোশনবাট অ্যান এসকেপ ফ্রম ইমোশন​]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন