নিজকিয়া ১
এই আছি বিন্দাস
বন ও বাদারে চাষ
জল মাখা সন্ধেয়
বেড়িয়ে ...
নিজের মালিক নিজে
ঈশ্বর কণা খুঁজে
কালো গ্রহপুঞ্জকে
পেরিয়ে ...
নিজকিয়া ২
মাত্র একশো ফুট দূরের বাড়িতে ছাদজুড়ে দপদপ্ আলোর ঢেউ
অথচ বাড়ির দরজা জানলা বন্ধ টানটান
অথচ বাড়িটায় শূন্য হাওয়া ঘাপটি মেরে দমবন্ধ;
আজকাল ঘুম ভাঙলেও কিছু মুখ
ঘুমের মধ্যেও কিছু মুখ অযাচিত কবিতা শোনায়,
কবিতারা হুল্লোড় করে মাতলামো করে।
ওপাশের বাড়ীর আঁচল ছুঁয়ে ফিকফিক হাসতে থাকা রাস্তায়
মাঝেমধ্যে দাপিয়ে চলে যায় গম্ভীর সাইরেন;
আজ ফের মারা যাবে কেউ ...
দেখতে দেখতেই সমস্ত অঞ্চল সমুদ্র
উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ে ডুবোপাহাড়ের ভাসমান মাথায়
দেখতে দেখতেই ওপাশের জনশূন্য বাড়িটা লাইটহাউস হয়ে গেল।
নিজকিয়া ৩
- এবার দেখা হলে কথা আছে, বিশেষ কথারা শোকের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে সযত্ন প্যাকে ঘুমায়।
- বেশ তো তাহলে কথার পিঠে কথা সাজিয়ে সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়িয়ে নেওয়া যাক, এখন বিসদৃশ বিকেল।
- কথা দিলে কথারা শেষ হয়ে যায় উন্মুক্ত প্রান্তরেখায়, নিরুদ্দেশ পেছনের মায়ামুকুরে কোনো চিহ্ন ছাড়াই।
- দেখা হবে নিশ্চিত কথা হোক কিম্বা নিরুচ্চার, পদাতিক সৈন্যের রুটমার্চের নিষিদ্ধ গতিপথে, হবে দেখা।
- এখন সবে তো বিষণ্ণ বিকেল, পাখিছানা উৎসুক, বিক্ষিপ্ত উড়ানের শেষ ডানা ঝাপটানি ছিনতাই করে লাল টিপ।
- এভাবেই গড়িয়ে যায় বিলাসী সুতোর রিল পর্যায়ক্রম না মেনেই আঁকাবাঁকা দিকে মানসিক অবসাদের চরম সীমায়।
- সেই সুতো শেষ হলে অলস টিভির পর্দায় ভাঁড় সিরিয়াল আর লোলচর্ম মেঝেতে পড়ে থাকে একরাশ ছাই।
- তখনই তো কথা ভাসে, অদৃশ্য অবয়বে ফেলে আসা সুখস্মৃতি ময়ুরী পাখায় মেলে কথারা রাজহাঁস রং গান হয়ে যায়।
স্বাগত রঙিন ক্যানভাস। শুভেচ্ছা অফুরান।
উত্তরমুছুন