অ্যানিটাকে
চড়া/হলুদ/কালো/মেয়ে
সূয্যির পারা হাঁটছিস তুই
চড়ি যা, আরো চড়ি যা
যারা হাসে
তোর/রং দেইখ্যে
সিখানে নড়ে চড়ে নাই
যি কালোয় মোরা যেছি
ক্যান কি, যেমন কার্টিস মেফিল্ড বুলেন,
মোরা মুনিষগুলা নীল থিক্যা আরো কালো
আর মুদের মইধ্যে
অনেকজনাই হলুদপানা
হরেক আত্মার হরেক রং-পানা
কালো
হ, চড়া/হলুদ/কালো/মেইয়ে
হাঁট তুই তর/কালো/গান
কেন কি আমাদের মইধ্যে অনেকে
তর/মিঠা/গান শুনে
কবিতা # ৩
আমি জড়ো করি
প্রতিটি শব্দ
যা তুমি ফেলে গেছো
আর তাদের বিছিয়ে দিই
আমাদের বিছানায়।
প্রতি রাতে
আমি তোমাকে নিঃশ্বাস নিই
আর নেশা হয়ে যায়।
[জন্মসূত্রে কবির নাম ছিল উইলসোনিয়া বেনিটা ড্রাইভার। অ্যালাবামায় জন্মের পরপরই কবি মাতৃহীনা হন, আর নানা আত্মীয়ের কাছে ছন্নছাড়াভাবে তাঁর ছোটবেলাটা কাটে। ন’বছর বয়সে বাবা আর সৎ-মায়ের কাছে নিউ ইয়র্কের হার্লেমে চলে আসেন। ছোটবেলা এভাবে কাটানোর ফলেই বোধহয় তোৎলামির সঙ্গে তাঁকে যুদ্ধ করতে হয়। কিন্তু পরে তিনি বাগ্মী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। ম্যানহাটানের হান্টার কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বি,এ ডিগ্রি পাবার পর কিছুদিন নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টিধর্মী লেখা নিয়ে পড়াশুনা করেন সোনিয়া। এই সময়েই তিনি আলফ্রেড স্যাঞ্চেজকে বিয়ে করেন, যদিও পরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পরেও তিনি সাঞ্চেজ পদবীই রেখে দেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর দুই পুত্র এবং এক কন্যার মা হয়ে সোনিয়া মা-সন্তানের গভীর সম্পর্কের উপর অনেক কবিতা লেখেন। কন্যাকে উদ্দেশ্য করে ‘অ্যানিটাকে’ কবিতাটি এখানে অনূদিত হয়েছে। আমেরিকায় সাধারণ কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ যেমন কিছুটা ভিন্ন ধরণের অনেকটাই অশিক্ষিত মানুষের ধরণে ইংরেজি বলেন সেই বিশেষ ভঙ্গিতে কবিতা লেখা সোনিয়ার কবিতাকে বিশেষত্ব দিয়েছে।
১৯৬৬ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন কলেজে সৃষ্টিধর্মী লেখা বিষয়ে অধ্যাপনা করেন এবং ১৯৭৫ সালে টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী অধ্যাপকের পদ লাভ করেন। অধ্যাপক হিসাবে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ নারীর অধিকার এবং আকাঙ্ক্ষার কথা জোরগলায় বলা শুরু করেন এবং আফ্রিকান-আমেরিকান সাহিত্যকে লোকসমক্ষে আনবার প্রচেষ্টা করেন। ১৯৬০-এর দশকের কৃষ্ণশক্তি আন্দোলন তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল এবং হাকি মধুবুটি, এথারিজ নাইট এবং নিক্কি জ্যোভান্নির সঙ্গে তিনি একটি দল গঠন করেন যার নাম ছিল ‘দ্য ব্রডসাইড কোয়ার্টেট’।
১৯৯৯ সালে এমেরিটাস অধ্যাপক হিসাবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।]
ভালোলাগলো
উত্তরমুছুন