যা কিছু তুমি বলছ সবই অনর্থক
(এক)
আমি যা কিছু লিখেছি একটা বিপদের মুখোমুখি হয়ে।
একজন ইংরেজ সাংবাদিকের সঙ্গে
আয়ারল্যান্ডের ভাষা বিষয়ক কিছু অভিমত অনুসন্ধানের জন্য
আমি শীতেই ফিরে এসেছি,
যেখানে খারাপ খবর কোনো খবরই না।
যেখানে গনমাধ্যমের লোক এবং কাঠামোর অবজ্ঞা
আর শক্তিশালী লেন্স, রেকর্ডার,
কুন্ডলী পাকানো সীসা
হোটেলের আবর্জনার স্তূপের অনুরূপ।
গুণ যেখানে সংযোগের বাইরে!
তবুও আমি ইচ্ছুক যতটা সম্ভব প্রার্থনা সম্বলিত জপমালায়।
রাজনীতিবিদ এবং সংবাদপত্রের লোকজনের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য এবং বিশ্লেষণ নিয়ে
যারা হিজিবিজি লিখে প্রচার চালায়
অথচ গ্যাস এবং অ্যাসিডের বিরুদ্ধে
দীর্ঘ প্রতিবাদেও তাদের কোনো ভ্রূক্ষেপ থাকে না!
এই যখন অবস্থা
তখন কে মাপবে ধাপে ধাপে বেড়ে ওঠা তাদের
নাড়ীর স্পন্দন, নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, আঘাত,
অস্থায়ী মঞ্চ, মেরুকরণ এবং দীর্ঘস্থায়ী ঘৃণা!
তথাপি আমি এখানে বেঁচে আছি,
এখনো বেঁচে আছি, আমার গান নিয়ে।
অভিজ্ঞ নাগরিকরা কথা বলবে প্রতিবেশী নাগরিকদের সঙ্গে
টেলিমাধ্যম অথবা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বেতারযন্ত্রে।
আস্বাদন করবে অনুমোদিত নকল স্বাদ, প্রস্তরময় সুগন্ধ,
পুরনো, বিশদ সমুচিত জবাবে!
সত্যি, এটা মর্যাদা হানিকর, আমি অবশ্যই সহমত।
কে জানে, এর শেষ কোথায়?
এটা খুব খারাপ হচ্ছে!
'ওরা খুনি, অন্তরীণ বোধগম্যহীনতায় ...'
দেহ ও মনের সুস্থতার স্বর ক্রমশ কর্কশ হচ্ছে।
[কবি সিমাস হিনি (Seamus Heaney)-র জন্ম উত্তর আয়ারল্যান্ডে । ১৯৩৯ সালে। তিনি একজন আইরিশ কবি। প্রথম জীবনে ফ্রীলান্স লেখালেখি ও প্রচারের কাজে যুক্ত ছিলেন, পরে অধ্যাপনা । বহু পুরস্কারে সম্মানিত । কবিতার জন্য পেয়েছেন Whit bread book of the year award ১৯৮৭ এবং ১৯৯৬ সালে এবং সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ১৯৯৫ সালে। তাঁর লেখায় বিশেষভাবে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ন্যায়বিচার । তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-- Death of a Naturalist(1966), Wintering out(1972), The Haw Lantern (1987) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । নোবেলজয়ী এই কবি ২০১৩ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন