সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২

সুবীর ঘোষ-এর কবিতা


যোগচিহ্ন

বেলা যত বাড়তে থাকে

ঘড়ি থেকে পেন্ডুলাম

সরতে সরতে ভাঙনের তীরে এসে স্থির হয়।

আমি বুঝি, অন্ধকারে নির্ভুল নিশানা মানে যোগচিহ্ন শুধু

বাইরে শৈত্য মেখে যারা কাঁপে তাদেরও সমন ঝোলে পিঠে।

নদীরা এখুনি আর বইবে না

শব্দ থেকে শব্দোত্তর পাঠক্রম চালু হলে

মনোযোগী ছাত্রের মতো এসে বসব অনুযোগহীন।

হাওয়ায় হাতের রোম এলোমেলো হয়

অসাবধানে উল্টে যায় ভরতি কলসি আর ঠুনকো চশমা।

জন্মে দূরে দেখা শেষ হয়ে আসে

পুরুষ্ট উঠোনখানা সাজিয়ে মেলেছি

সবাইকে কাছে পাব এই কথা ভেবে

আলো দেবে দক্ষিণের চাঁদ অথবা রূপসি

বাতাসের মুখে আসে চন্দনপ্রবাহ

সবাইকে কাছে পাব এই ভেবে

প্রসারিত করে রাখি সর্বোচ্চ দরোজা।

এভাবেই দিন যায় উঠোনে ঘাসের রেখা বাড়ে

শব্দ থেকে শব্দোত্তর  ঘড়ির দোলক

কালক্রমশূন্যতায় পাড়ভাঙা দেখে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন