কোনো বাক্যে থাকতে পারত দেয়াল লিখন
আসবাবের শরীর ছিঁড়ে ফিনকি দিয়ে বেরুচ্ছে সংশয়
প্রত্নতাত্ত্বিক মেরুকরণ দিয়ে এসবই একদিন দখল করেছিল
গৃহাভ্যন্তরের বিপুল তামাশা
জন হপকিন্স, কবিতার পরিভাষায় কোনো উদ্যোক্তা নন
পরার্থ ও মানবতার কাব্যে তবু অর্বাচীন বলা তো যাবে না
তার নামে খোদাইকৃত কৃতবিদ্য অগণ্য প্রতিষ্ঠান থেকে
একইভাবে উঁকি দেয় অনলবর্ষী বালক, ঈশ্বরের ছাতা
নোয়াম চমস্কির ভাষা বিজ্ঞানের প্রতিটি ভাঁজ করা পাতার অলিন্দ্য থেকে
গলগল করে নামছে অভিব্যক্তিবাদী তাবৎ পৃথিবীর মানুষের বিস্ময়
বিনির্মাণের মুখভর্তি বুলি অনর্গল ঝরে ভাষায়, কারুজিজ্ঞাসায়
লালন যেখানে থেকেও নেই, কী এক অচিন ভারাক্রান্ততায়
মানবভূমি দখল করেছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতর মরমী পরিভাষায় —
সায়াহ্ন হাওয়ায় জীবনমৃত্যু একাকার করে যা সদাই ঝরে পড়ছে —
তারই মাঝ দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে অলৌকিকের সৃষ্টিসুখ, মনুষ্য সাধনা
সমস্তই ভাঁজ খুলে যদি পরম নিবাসে আলোকায়নে ভাসাই
জরাক্রান্ত মনে টিমটিমে আলোয় থাকে না তো প্রতিবিম্ব কোনো —
যাকে নির্ভর করে
ঘোরগ্রস্ত জীবনের অন্তত একটি তৈলচিত্র নির্মিত হতে পারে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন