রবিবার, ১ মে, ২০২২

অমলেন্দু চক্রবর্তী-র ঝুরোগল্প

ঝিঙুর

অন্ধকার এগোয় 

একপা দুপা একপ্রহর দু'প্রহর 

ঝিঙুর যেনবা ঘুঙুর হয়ে বাজে 

পায়ে পায়ে

অমানিশা বর্ষা বৃক্ষস্নান

শব্দজলে এমন অম্লান।

____

শব্দ নির্জনতার সঙ্গি অনুভূতি অন্ধকার সয়, সময়ের অপেক্ষারত ধ্বনিতে। যে ধ্বনি ঝিঙুর হয়তো বা বন‌ইঁদুর গন্ধেশ্বরির। তবুও পদক্ষেপের পদচিহ্ন একা একদমই একা ডিসটেন্সিং প্রোটকল নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসে, ইয়াদাস্ত ভ্যালুলেবেল একাকিত্বে স্মৃতির ঢাক্কুন আপনিআপ ভুরিভুরি কাটে।মহান গলোকধাঁধার পরিপাট্টের কানা'ওলিগলিতে ঠিক ততখানি উৎপাতের মতো উত্তাপ না ঘটলেও বাব্'লস একটি একটি ভরাডুবির স্ফুটনাঙ্ক। পদ্মডোবার বনসাইয়ে, ক্ষেপে ক্ষেপে বুলবুলি বাবুই ডুবকিস্নান সারে। ফুস ফুস করে ডানার তলাট জলধোই গৃস্মের ঠা ঠা দুপুরে কাক কোকিল মাছরাঙা সে অনেক পরিযায়ী।

                                                    ডানার বিস্তার টান্ টান্ টানা, যৌবনের নিরবচ্ছিন্ন বাঁশবনের চিলতে ফাঁকির অস্বচ্ছ অমোঘ আকাশ, সফেনসমুদ্রের শিমুলকাপস কিম্বা মহুলপলাশ।এই অনুশাসন হিন বৃক্ষের দাপটে জঙ্গল স্বচ্ছপ্রেমের পর্যাবরণ। স্মৃতির ঢাক্কুন অন্ধকারে গেস্টাপোর ভুড়ভুড়ি। টেরি সামন্য হলেওতো টেরি, সামন্য ট্যারা  হলেও ট্যারা। টেরির লক্ষী আছে।লক্ষীটেরি, ট্যারার নারায়ণ নাই। তাই বন্ধুরা তো বলেই দেয় দেড়চোখা। তো সেই অভিমানী টেরিকে অন্ধকারে বড্ড মনেপড়ে। উষ্ণস্পর্শেই জলাশয় তরঙ্গায়িত বাতাসের মতো থিরকান গভীর নিঃশ্বাস। অন্ধকার অত‌এব বিপরীত লিঙ্গের তড়িৎসঞ্চার, মায়াবী মায়াজাল তবুও দূর্নিভার।

পথভ্রষ্ট পথিকের, ভালোলাগে ঝিঙুরী গীত ঘুঙুরি নাচ্ ঝুমুরসঙ্গীত ঝিঙ্কুনাকু ঝিঙ্কুনাকু। ঝিঙুর আর ঝুমুর এক চৈত্র রাতের বিরোহি আত্মস্পর্শের জমিনি পয়দাবার। বড্ডো ছোঁয়াযায় একেঅন্যের দূখদর্দ্ এর দুনিয়া।

                                                                       দুখানি ডানাঝাপটানো পেঁচার মতো অন্ধকার চিরে। এক নেশাড়ি গন্ধের

আহ্বান। খলখল করা বেবুঝ জলাধারের গতীপ্রকৃতিতে সমুজ্জ্বল। আরো আরো ঘনায়মান সান্নিধ্যের মৌরশিপাট্টা,সংক্রামিত অতিন্দ্র রাত্রির প্রহর যাপন। মিটমিট করে অক্লান্ত রাতজাগা দুচোখ। ঘনায়মান বিপর্যয় দৌরাত্ম্য ইঙ্গিতে-আকারে যূগান্ধর।বেপর্দা হৈ হৈ এমন দাঙ্গাবাজ চোখদুই দাবড়িয়ে পরিবেশ গিলে ছবি। যে চোখ গভীর মায়ায় এমন সক্কর আমন্ত্রণ ঘাঁটিয়ে ঘুলিয়ে গভির -সুখ অহংকার কে দুমড়েমুচড়ে একসা ঘটাই। যে সঞ্চয় দূর্মুটপাথার পাতালে ঘাপটি ঘুমের শুস্কশিকড়ের অদ্ভুত অদ্ভুত আকৃতি জান্তব,যন্ত্রনা দেয়। আবার আবার ডানার পালক ফরফরিয়ে মুক্তবিহঙ্গের মতো অনন্ত বায়ুমণ্ডলের বিন্দুবিসর্গের চতুরন্ত ঘেরাটোপে সুখসারির বকম বকম। অদৃশ্য এক হারানো মেঘঝাউয়ে জলস্খলন। বার বার মাটি অথবা মধ্যাকর্ষণ। ছোঁয়া যা কখনো স্পষ্ট, স্পর্শের অনুভব রোমাঞ্চিত শিহরণ, আবার কখনো ধোঁয়া ধোঁয়া।

যারা বলে আবছা অদৃশ্যের অবয়ব হিনতার অস্তিত্বের কোন প্রভাব বিস্তার করে না। তা কিভাবে মেনে নেওয়া যায়।

     নাহ্ মেনে নেওয়া যায় না এরকম পরিবেশ‌ও

ভালোবাসার কভু কভু কারো কারো ক্ষেত্রে।

 

           কাস্তেচাঁদের দীগুন বাড়ন্ত

           পর্ণ'পুণির হুতাশ

           লাগত'লাগে খর্চে এবার

          সাজসজ্জার বাহার।

পালা করে চৈতার বিরহ চিৎকার কান্না জড়ায়

প্রাণে। স্বর ভাঙ্গা গড়ার মাঝে মাঝে।এমন‌ই তরঙ্গ তড়িতাহতের মতো দুচোখ ছাপিয়ে আসে। বসন্তের বেহাগ, গানগণিতের ইত্হাস ঘনাই বাহার বসন্তের জলা'য়। জীবণ ভূগোল জীবণ সাহিত্য আঁটকে কড়িবর্গার তলায় শুরুটা যেমন এগোই শেষের বিন্দুর লক্ষ্যে, ঠিক তেমনি শেষের লক্ষ্য‌ও শুরুর দিক্ ধরে। প্রকৃতির খেলা ঘরে, এমন‌ই খেলা চলতে থাকে সময়ঘিরে।

 

1 টি মন্তব্য: