অপসৃতা নারী
স্বপ্নচারিণী। ওই মেঘের ভিতরে তার বাস।
বৃষ্টি তবু ঝরে পড়ে অশ্রান্ত অঝোরধারে,
কাশবন, নদীতীর, বালিয়াড়ি, উঁচু নিচু বাঁধ,
আলেয়ার মতো তার বিচরণ এখানে ওখানে।
ওই দূরে বহুদূরে চলে গেলো গ্রামের রানার
লাঠি হাতে, রথতলা, বটতলা, ঝাউয়ের বনানী পার হয়ে
ঠুন ঠুন লণ্ঠন, সরকারি চিঠির বোঝা
আজকাল বিস্মৃত, একদিন খবর হয়েছে।
গানও হয়েছে তাকে ঘিরে,
যেমন হয়েছিল সেই নারীর কল্পনায়, চোখের তারায়
স্বপ্নচারিণী ছিল চারিদিক ঘিরে।
পঞ্চমীর আধখানা ম্রিয়মান চাঁদের আলোয় আলোকিত নদীবক্ষে, তীরে।
আজকাল আধখানা জীবন্ত নারীও আর অবশিষ্ট নেই,
কবিতাও কৃষ্ণপক্ষ চাঁদের মতনই আজ অনুল্লেখ্য, অপসৃয়মান।
শ্রাবস্তীর কারুকার্য নালন্দা, বিদিশায় ছিল।
নৌকো ছিল, মাছরাঙা, ধ্রুপদী কবিতাও ছিল।
গানের ভিতরে ছিল সপ্তসুর মায়া,
চাঁদের, স্বপ্নের নীল ছায়া।
শেষবার রানারের ঠুন ঠুন লণ্ঠন, লাঠি
ওই দূরে বহুদূরে চলে গেলো আবছায়া আধো অন্ধকারে।
মিশে গেলো শেষবার ওই মেঘ বুকের ভিতরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন