শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

রফিক উল ইসলাম-এর কবিতা

ঈশ্বরকণা

পাহাড় যার আয়না, তার আলাদা কোনও

ঈশ্বর লাগে না। কোন সে সুদূর কৈশোরে 

পাহাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, সাঁতার দিচ্ছি পাহাড়ে,

বিস্রস্ত বসনও ঠিকঠাক করে নিচ্ছি, পরিশুদ্ধ করছি 

পাহাড়ে প্রতিবিম্ব দেখে। এখন তো ঈশ্বরই 

আমার অনুকম্পায় বেঁচেবর্তে থাকছেন!

 

আমি বাপের পুত্র যেমন, মায়েরও পুত্র 

তেমনই। এঁরা দুজন আমাকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন

 দূরের পাহাড়ে। শুধু সাবধান করেছিলেন ঝরনা নামক

নারীটিকে নিয়ে। ঝরনা নাকি কোথায় যেন 

ভাসিয়ে নিয়ে যায়! আর ভাসমান প্রতিবিম্ব

 সত্যি কথা বলে না কখনও! আমি আমার             

সত্যি ছবি দেখতে গিয়ে

পাহাড়ে পাথরে আছড়াই। আর গুঁড়ো হতে হতে

ঈশ্বরকণার সন্ধান পেয়ে যাই।

 

সমুদ্র যার এলোচুল, তারও আলাদা কোনও

ঈশ্বর লাগে না। রাত্রির বেণীবন্ধনে নেমে আসা    

অযুত নক্ষত্রের গরিমায় 

সে নিজেই ঈশ্বরী হয়ে ওঠে! 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন