শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

ঊর্মিলা চক্রবর্তী-র অনুবাদ কবিতা


 
হাকি মধুবুটি  (ডন লী)

নিয়তি 

আগ্নেয়গিরিদের আর সময়হারা বছরগুলির নিচে লক্ষ্যের মধ্যে আর

নিচুস্বরের আওতায়। কোণাগুলি ঘুরেগভীর গুহাগুলিতে

ভুল বোঝা আর অনেকসময় অর্থহীন শব্দের মাঝখানে।

কাটাছেঁড়া ভিক্ষুকবেআইনি বেশ্যাদালাল আর বেশ্যারা। নবজীবন দাও কাজকে।

নীল দাগে দাগিয়ে নাও তোমাদের দূরত্ব। এসো মাটি থেকে মাথাতোলা মানুষেরা

ঘনকালো আর প্রস্তুতএসো রোদে পোড়া নারীরা, চলমান শিকড়সংস্কৃতি।

করো যা তোমাদের করবার কথাযা তোমরা করবে বলেছো

যা অসম্ভব তা নয়নয় যা কল্পনাশূন্য,

আসল বলে নকল নয়আর নিশ্চয়ই

ইউরোপের সুরে তেঁতো গান নয়। শক্ত করে ধরো,

করো যা প্রয়োজনযা সম্ভবকরো যা ঠিক তাই সরল

বলো ব্রতের কথা আর নতুন অর্থ করো ভাগ্যের

দেশ আর  আত্মবোধ প্রতিষ্ঠা করো আমাদের জাতির মনে

যা প্রত্যাশিত তাই করোকরো যা সব মানুষ করে।

মুখ ফিরিয়ে দাও ধ্বংসের। ধরো আগামীকালগুলিকে।



[আফ্রিকান আমেরিকান কবি ডন লুথার লী অনেক ভেবেচিন্তে হাকি মধুবুটি নাম নিয়েছিলেন ১৯৭৪ সালে। স্বাহিলি ভাষায় শব্দযুগলের অর্থ ন্যায়পরায়ণ  বিশ্বাসযোগ্য  ১৯৪২  সালে জন্ম নেন কবিআর ষাটের দশকে যেসময় তিনি নবীন যুবক তখনই কৃষ্ণশক্তি আন্দোলন 

নাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকাকে। আফ্রিকান আমেরিকানরা সেই সময় আপন শিকড় খুঁজে পেতে আফ্রিকার মূল ভূখন্ডের দিকে ফিরে তাকানআফ্রিকান সংস্কৃতি সম্বন্ধে নতুন করে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। সেই শিকড়সন্ধানেরই চিহ্ন বহন করে কবির এই পরিবর্তিত নাম। সত্তরের দশকের শুরুতে আফ্রিকা ভ্রমণ করেন কবিআর সেখানে স্বদেশ সম্বন্ধে যে গভীর উপলব্ধি হয় তারই  

পরিচয় বহন করে দেশ  থেকে ফিরে তাঁর এই নাম পরিবর্তন।

আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ললিতকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পাবার পর তিনি কৃষ্ণশক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন।সেই সময় থেকে তিনি অজস্র কবিতা  গদ্য লেখার পাশাপাশি থার্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস প্রতিষ্ঠিত করে কৃষ্ণাঙ্গ সাহিত্যের প্রকাশনার পথ প্রশস্ত করেন। আফ্রিকান আমেরিকান সাহিত্যে হাকি মধুবুটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাম।]



1 টি মন্তব্য: