গ্যাব্রিয়েল, বলো
গ্যাব্রিয়েল তোমার হাত থেকে উড়ে যাওয়া পাখি আজ কোন
বার্তা দেবে
বৃক্ষের সবুজ থেকে বাগানের সমান্তরাল উড়ে যাবে আজ
নীল সীমানার দিকে
দিক, দিক কাকে বলে গ্যাব্রিয়েল, দশ দিকের মধ্যে কোনো
একটিও কি
পড়ে তার মধ্যে, জানি চশমার ডাঁটি হাত নিয়ে একটু খুলে
পরে নিলে ফের,
কাফের আমি, মনুষ্যভুক্ত নই হয়তো, কোনোদিন ভুল করে
ডাকিনি ঈশ্বরের নাম
গ্যাব্রিয়েল তোমার পাখির জন্য অপেক্ষা করে আছি, সে পাখি
কি সবুজ, পাহাড়ি নীল,
ধূসর, লাল, হলুদ, ঠিক আছে হলুদ পাখি হলুদ পাখি বলেই
না হয় ডাকব, ডেকে ডেকে
গলা থেকে রক্ত উঠলে তখন ঠিক আসবে তো, তুমি পাঠাবে
তো, আমি রুগ্ণ, আমি
অসহায়, তোমার নীল পাখির জন্য অপেক্ষা, সে উড়েছে
উড়ুক, সে গাইছে গাক,
তার নরম পালকে মুখ গুঁজে পড়ে থাকব, দিন মাস বছর
বয়ে যাবে, পাহাড়ের কোটর
থেকে উড়ে যাচ্ছে পাখি সমান্তরাল, নীচে আমি, আমার
কঙ্কাল, সে বড়ো দূরের কথা
এখন তো নয়, এখন তো বেঁচে আছি, গ্যাব্রিয়েল, তোমার
প্রিয় পাখিটিকে উড়িয়ে দাও
পাঠাও আমার কাছে, পাখিটির রামধনু রঙের পালক, কথাও
বলতে পারে ভালো
সমুদ্রের, সীমাহীন সমুদ্রের জলরাশি, ঢেউ, ঢেউ-এর পর
ঢেউ উপেক্ষা করে
সি-সিকনেস না মেনে, ঝড়ঝাপটায় উড়তে পুড়তে আসতে
থাকবে সে, সেই পাখি
তার চঞ্চুর মধু আমি হাত নিয়ে পরীক্ষা করে দেখব
কিমিয়া, দেখব শিল্প
দেখব কীভাবে সে আমাকে বেঁধে রাখতে পারে, গর্জন ভেদ
করে ওঠে সমুদ্র,
সমুদ্রের দিগন্তহীন দিগন্ত, জাহাজের ডেকে বসে ক্রমান্বয়ে মদ
ঢেলে নিতে নিতে
ভাবব কেন এই দিবসযাপন কেন এই রাত্রির ক্ষরণ
দিনাতিপাত খরশান
ছোরার মতো, ছোরার উপর পা রেখে ব্যালান্স, ক্যামেরার
লেন্সে চোখ রেখে
ক্লোজ-শট্ মিড-শট্ লং-শট্, কিছুতেই ফ্রেমের মধ্যে
পাখিটিকে দেখতে পাইনি
বাইনোকুলার নিয়ে বসে আছি, আছি, বসে, বাইনোকুলার
নিয়ে, পাখিটিকে
দেখতে পাইনি, গ্যাব্রিয়েল, প্রতারক, তোমার কাঁধে ঝাঁকুনি
দিয়ে বলি, কেন
প্রিয় কবি এবং অগ্রজের জন্য অফুরান শ্রদ্ধা ও কবিতার জন্য অসীম প্রিয়তে।
উত্তরমুছুনঅসাধারণ একটি লেখা পড়লাম
উত্তরমুছুনঅসাধারণ একটি লেখা।নাসেরদাকে ভোলা যায় না।
উত্তরমুছুন