অনন্তের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসা বিশ্বাসের স্রোত
আলুল উদ্বেল এক বর্ণিল সোনাঝুরি আলো
মেঘের মিনার থেকে টুপ করে নেমে এসে নির্ঝর হল
বিস্ফারিত ফুলে-ফেঁপে ছড়িয়ে গেল সবখানে
ঘর বারান্দা উঠোন ছাড়িয়ে অদৃশ্য নিকেতনে
আমাকে নিয়ে চলল দিশাহীন অনিকেত ঝড়ের খেয়ায়
ত্রিভুবন ঘুরে দারুচিনি-মায়াদ্বীপ, তার পাহাড় ঝরনায়
সানুদেশ ছুঁয়ে দোয়াব তরাই ছাড়িয়ে মালভূমি
কলসিতে ঢেউ তোলা মাতাল দিঘিটি
আমবন তালবন গলে দুপুর রোদের ঝিকিমিকি
আলোছায়া পার হয়ে মাত্রাবৃত্ত দোলা দিয়ে
দুলে দুলে দুলে সেই কাঁখকলসি
দমআঁটা পানাফুলের উপরে
ডাহুক-ডাহুকীর প্রেমছবি দেখে ঘন মনে
অতঃপর কাঁকাল ভেঙে হৃষ্ট হেসে ওঠে
তারপর আমারই মগজ তাক করে হেনে দেয় শেল
হেসে গড়িয়ে পড়ে গড়িয়ে গড়িয়ে সে ঢুকে পড়ে
আমার মনের গহীনে যে সাতমহলার নির্জন, সেখানে
তাকে আমি আতুপুতু যত্ন করি সঘন সাজাই অনিমিখ
সে আর কেউ নয় অনন্তের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসা
আমার সে বিশ্বাসের স্রোত
স্নান করি তাতে অমিতাভ ধারাস্নান
সিদ্ধকাম ধুয়ে ফেলি সকল কলুষ
বুকের মধ্যিখানে জন্ম নেয় এখন
পৃথিবীর সব কষ্ট মুছে ফেলা এক জ্যোতির্ময় পুরুষ!
হৃদয় পরিমার্জিত হল। অপূর্ব!
উত্তরমুছুন