এক ডজন কবিতা
(এক)
পায়রা ওড়ানো ভোর, মেঘলা দুপুর।
শ্রাবণ পেরিয়ে বাজে শরতের সুর।
(দুই)
সিঁড়িহীন খাদে দেখি সময়ের ছাপ।
ভাষা সংকটে আজও অভাবের চাপ।
(তিন)
সত্যকে আড়াল করে বেঁচে থাকি যদি!
অজানা থেকেই যাবে অগুনতি নদী।
(চার)
ভেসে গেলে ভালোবাসা থাকে নাকি কিছু!
মনের কিছু ফাটল ছোটে পিছু পিছু।
(পাঁচ)
খাঁচা ছেড়ে উড়ে গেলে ভাষা পায় পাখি।
কত দূর গেলে তবে মন মানে ফাঁকি!
(ছয়)
বিচ্ছেদ ছড়িয়ে থাকে ছেঁড়া রাস্তা জুড়ে!
যদ্দিন মানুষ না ফেরে অচিনপুরে।
(সাত)
বিবর্ণ মুখোশে আঁকা আছে নানা মুখ।
তাই নিয়ে বেঁচে আছি, সেটাই অসুখ।
(আট)
হে মহানগরী,তোমার সর্বাঙ্গে বিজ্ঞাপনের জৌলুস।
একদিন চুপিচুপি যাবো ঠিক, নিয়ে সমস্ত পৌরুষ।
(নয়)
জীবন নিয়ে যতই থাক নানা মতামত,
পথে পা বাড়ালেই চেনা যায় সেটা যে পথ।
(দশ)
মানুষই মানুষের ভুলত্রুটি,পাপ খোঁজে।
গাছে ফল পেকে এলে পাখিরা প্রথম বোঝে।
(এগারো)
সারাজীবন ধরে মানুষ খোঁজে জয়।
মাটির নিচের শিকড়ে চিনাবাদাম হয়।
(বারো)
মানুষের জীবনে ভরসা একমাত্র জল।
গাছের তুলনায় আনারস সবচে বড় ফল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন