চৈতন্য হোক
চোখের ভিতর তখনও মোহ, বালিশ মাথায় শুয়ে,
বৃষ্টির শিশু ফোঁটা সবে ঝরতে শুরু করেছে,
গোটানো আস্তিন থেকে অশ্রাব্যকুশ্রাব্য
ঝেরে ফেলে আখের গোছানোর লোভে কারা যেন বিষ্ঠা ঘাটছে !
হে মহাগুরু! আমাদের চক্ষুষ্মান করো।
আমি খেয়ালই করিনি আমার জবা গাছের ডালে
মায়ের শ্রীচরণের জবা! কি অপরূপ যে লাগছে !
এ কথা তাদের বলা আর না বলা দুইই সমান--
কি বল ঠাকুর !
মোহান্ধ মানুষের হেলদোল নেই, তাইই হয় গো।
যারা ভাঙে, তারা কি গড়ার কৌশল জানে !
সর্বনাশের সর্বগ্রাসী রূপ ফুটে ওঠে তাদের চোখে
পাপীদের অনুতাপ যে মাদারির-জাগলারি--ক্ষণিকের!
হীনমন্য দম্ভের ঠমক থাকে তাদের সৃষ্টিতে,যা বিনষ্টির বীজ বপন করে,ফষ্টিনষ্টিতে
মাতিয়ে রাখে,
নীল ট্রাপিজে দুলতে থাকে কোমরবন্ধ হলুদ সংসার!
অকাল শ্রাবণ ধোয়া এই ধবধবে পবিত্র সকালে
হে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ ! তুমি আর একবার
শোনাও তোমার বীজ মন্ত্র -"তোদের চৈতন্য হোক!"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন