রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

নীলাব্জ চক্রবর্তী-র ঝুরোগল্প


 আকাশ, আয়না আর ক্যামেরার গল্প 

সিনট্যাক্স বানাতে বানাতে কীভাবে যেন অনেকখানি আকাশ ঢুকে গেছে লোকটার মধ্যে। গেছে তো গেছেই, বেরোবার আর নাম নেই। তিন-চারদিন কাটল এভাবেই। অস্বস্তি আর অস্বস্তি। এখন লোকটা করে কী? হঠাৎ একসময় মনে পড়ল ঘটাকাশ তত্ত্বের কথা। আসলে আকাশ তো একটাই, তুমি আমি হাজারটা ঘটের মধ্যে জল নিয়ে বসে আছি বলে ওই ঘটের জলে একটু একটু করে আকাশের ছায়া পড়েছে আর মনে হচ্ছে বুঝি বা হাজারটা আকাশ এখানে ওখানে সিঁধিয়ে আছে। একটা আয়না লাগবে তার মানে। একটা আয়না থাকলে আকাশের ছবি হয়, আর একটা ক্যামেরা থাকলে সে ছবি ধরে রেখে দেখানো যায় বাইরের আকাশটাকে। সে নিশ্চয়ই কোনোভাবে বের করে আনবে লোকটার ভেতরে ঢুকে থাকা আকাশটাকে। বা, কে জানে, বাইরের আকাশটাকে দেখতে পেলে ভেতরের আকাশটা নিজেই বেরিয়ে আসবে...

 

অথচ ক্যামেরার কথা ভাবতে ভাবতে কোথা থেকে জল আসে। আবার কোথায় জল চলে যায়। ক্যামেরা নড়ে ওঠে। ক্যামেরা কোথায় বসবে? যাতে করে কি না ভেতরে আর বাইরে একটাই আয়না হবে... আকাশ বেরিয়ে এসে মিশে যাবে বাইরের আকাশে... একটু স্বস্তি পাবে লোকটা...

 

বসে আছে লোকটা। অপেক্ষা করছে। কেউ কোথাও নেই। বাতিল সিনট্যাক্সের মতো ভিড় জমে উঠেছে অন্য কোথাও তবে। দূরে অন্য কোথাও হাজার আলো আর আহ্বান আর বেদী আর হাততালি। লোকটা জানে বৃত্ত একটা অভ্যাস। সিনট্যাক্সও...

২টি মন্তব্য: